মেরুল-বাড্ডা ইউলুপের সামনে থেকে সব গণপরিবহন থামিয়ে নামিয়ে দেয়া হয় যাত্রীদের
রাজধানীতে শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই কয়েকটি রুটে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গণপরিবহনের।
বিশেষ করে যে সব বাস এয়ারপোর্ট রুটে চলাচল করে, সে সব গণপরিবহনকে শুক্রবার সকালে বিভিন্ন পয়েন্টে থামিয়ে উল্টো পথে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
সদরঘাট থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখী সব ধরণের গণপরিবহন রামপুরায় থামিয়ে দেয় পুলিশ। বাকি পথ যাত্রীদের পায়ে হেটেঁ যেতে দেখা গেছে।
অনেকে পরিবারের শিশু ও নারী সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা করেন। সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তা মাথায় নিয়ে অনেক যাত্রীকে রামপুরা থেকে এয়ারপোর্টের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
ডিএমপি সূত্র বলছে, শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশেষ বিমানে করে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন। পরে তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন।
এরপর নরেন্দ্র মোদি হোটেল সোনারগাঁওয়ে আসবেন। পরে বিকালে তিনি যাবেন শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় চলাচলের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।
তার মধ্যে আছে- বিমানবন্দর সড়ক, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রাসেল স্কয়ার, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক, মিরপুর রোড, কল্যাণপুর, গাবতলী হয়ে ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের সাভারের নবীনগর।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রধান সড়ক ও ওই এলাকার উড়ালসড়ক। সেখান থেকে বঙ্গভবনে যাওয়ার শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে), কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পাশের সড়ক ও মৎস্য ভবনের সামনের প্রধান সড়ক। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে যেকোনো প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ থাকতে পারে।