রাজনীতির দৌড়ে পরাজিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে একটি মহল। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে মহলটি। আমার বিরুদ্ধে কারা কারা ষড়যন্ত্র করছে আমি তা জেনে ফেলেছি। আমি ওইসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাব, এমনটাই বলছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি তার নবনির্মিত মাছের খাবার তৈরি কারখানায় এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এমে খালেক বলেন, ফেসবুক পেইজে ফেক আইডিতে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার ছড়িয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বলানো হচ্ছে। গাংনী পৌর সভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তার নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে মাছের খামার ফ্যাক্টরি নির্মান কাজের স্থান পরিদর্শন কালে তিনি জমি নিয়ে চযালেন্জ করেন। তিনি বলেন,যদি একটুকরো জমি সরকারের বা অন্য মালিকের প্রমান করতে পারেন তবে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।
এসময় গাংনী পৌ আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু,সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জমির হোসেন,গাংনী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মনিরুল ইসলাম মনি,জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহাদুজ্জামান শিপুসহ আওয়ামীগ,ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক তার দুই বিঘা জমির ওপর একটি মাছের খাদ্য উৎপাদন কারখানা মির্মাণ করছেন। রেজিষ্ট্রেশন সহ নানা রকম সরকারের নিয়ম মেনে বছর খানেক আগে কাজ শুরু হয়। বিম ঢালায় পর্যন্ত কাজ চলমান। এসময় তার পাশের একটি জমি মালিকের অনুমোদিত সাপেক্ষে লিজ নিয়ে সমান করছিল। এসময় গাংনী পৌরসভার ৯ মম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলে রাশিদুল ইসলাম খোকন গিয়ে এমএ খালেকের স্কেবিটর চালকে মারধর করে। পরে গাংনী পৌরসভা মেয়র আহম্মেদ আলীকে বিচার করার অমুরোধ জানালে মেয়র আহম্মেদ আলী বিচার করেনি। পরে আইনের আশ্রয় নেয় স্কেবিটর চালক।
এদিকে রাশিদুল ইসলাম খোকন এমএ খালেক কে নিয়ে ফেসবুকে ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে মান হানিকর মনগড়া নামা মন্তব্য লিখে এমএ খালেকের মামহানি করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদ জানানো হয়।
অন্যদিকে শ্রমিক মির্যাতনের বিচার চেয়ে ব্রিফিং করেন গাংমী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জমির উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম মনি।