মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাড. আব্দুস সালাম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি।
দলীয় মনোনয়নে নতুন ২৭ জনের মধ্যে তিনি একজন। ছাত্র রাজনীতি থেকে দলীয় রাজনীতি সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণেই তাকে দল মূল্যায়ন করেছে বলে অভিমত জেলা শীর্ষ নেতাদের। অপরদিকে, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারমান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। বিদ্রোহী হওয়ার কারণেই তার কপাল পুড়েছে বলে ধারণা জেলা নেতাদের।
দলের একাধিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কাল হয়েছে। এছাড়া অ্যাড. আব্দুস সালাম র্দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে মূল রাজনীতির সাথে সক্রিয় হয় কাজ করছেন। তাছাড়া দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা অ্যাড. আব্দুস সালামকে সেই মূল্যায়নই করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন অ্যাড. মিয়াজান আলী। সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্তে এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোথাও বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দেয়নি। সে হিসেবেই ধারণা করছি তিনি মনোনয়ন পাননি।
এম এ খালেক বলেন, এছাড়া মেহেরপুর জেলা পরিষদে মনোনয়ন পাওয়া নতুন মুখ হিসেবে অ্যাড. আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে রয়েছেন। তিনি আসলে রাজনীতিতে নতুন নয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ছিলেন আব্দুস সালাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি হিসেবে রাজনীতিতে তার অনেক অবদান রয়েছে। এছাড়া মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটিতে তিনি সদস্য পদে ছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মাঠে ময়দানে সবসময় তিনি দলীয় রাজনীতি চর্চা করেছেন। দলে তার বিরুদ্ধে কখন কোন অভিযোগ উঠেনি। এসকল নানা কারণেই দলীয় প্রধান সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি আরো বলেন, দলীয় মনোনয়ন যিনি পেয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁর হয়েই কাজ করবেন।
মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী বলেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুলও আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী হওয়ায় দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হয়তো তাকে মনোনয়ন দেননি। আর অ্যাড. আব্দুস সালাম ছাত্র রাজনীতি থেকে বেড়ে ওঠা নেতা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও সহসভাপতি ছিলেন। যার কারণে তার প্রতি সভানেত্রী তাকে মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন প্রাপ্ত অ্যাড. আব্দুস সালাম, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুলসহ ৯ জন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৯জনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় যাকে মনে করেছেন তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমরা তাঁর হয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেব।