ঢাকাই চলচিত্রের অভিনেতা রাজীবের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর শক্তিমান এ অভিনেতা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত এই খলনায়ক। রাজীবের পুরো নাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব।
চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের অন্যতম সফল খলনায়ক রাজীব পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশাজীবন শুরু করেন তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে। শখ ছিল অভিনয়ে। জড়িয়েছিলেন মঞ্চ নাটকে। চমৎকার উচ্চারণ ও ভরাট কণ্ঠের প্র্যাকটিস তিনি মঞ্চেই করেছেন। মঞ্চ থেকে কাজ করেছেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে।
তিনি ঢালিউডে নায়ক হয়ে পা রাখেন ১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ ছবিতে। তবে নায়ক হয়ে তার খ্যাতি আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘খোকনসোনা’ ছবিতে।
তবে সিনেমায় রাজীবের উত্থান বা সাফল্যের গল্পটা ভিলেন হিসেবে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে ও দাঙ্গা প্রভৃতি।