সরকারি ঘোষণা রাত ১২ টা থাকলেও সেহেরপুরের অধিকাংশ কেল পাম্পগুলোতে রাত ১১ টা কোথাও কোথাও সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত জ্বালানী তেল দিয়ে বন্ধ রাখার অভিযো পাওয়া গেছে।
রাত ১২ টার পর জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার খবরে মূহূর্তেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে শত শত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট জড়ো হয়। তেলের জন্য শুরু হয় হাহাকার। তবে তেল পাম্পগুলোতে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বন্ধ করে দেওয়ায় মোটরসাইকেল মালিকরা উর্দ্ধোশ্বাসে দৌড়াতে থাকে এক পাম্প থেকে অন্য পাম্পে।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনীর মালশাদহ হোসেন ফিলিং স্টেশনটি রাত ১১ টার দিকে বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।
গাংনীর সিনেমা হলপাড়া এলাকার আরোজ আলী ও এনায়েত হোসেন বলেন, আমি রাত সাড়ে ১০ থেকে রাত সাড়ে ১২ টা প্রায় দুই ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে পেট্রোল পেয়েছি।
মালশাদ গ্রামের গোলাম কাউছার সবুজ আহম্মেদ বলেন রাত ১০ টার দিকে টেলিভিশন, অনলাইনে ও ফেইসবুকে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর খবর ছড়িয়ে পড়ে। মূহূর্তে কয়েক হাজার মোটরসাইকেল এসে জড়ো হয় হোসেন ফিলিং স্টেশনে। সামান্য আধা ঘন্টা তেল দিয়েই বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ।
তবে জেলায় তু একটি ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি তেল দেওয়া হলেও অধিকাংশই বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই পেট্রোল না পেয়ে অকটেন কিনে নিতে দেখা গেছে।
বাঁশবাড়িয়ার মেসার্স গাংনী ফিলিং স্টেশনের মালিক অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ মোটরসাইকেলআরোহীদের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খাওয়ায় ভোক্তা কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন।
বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সানারুল ইসলাম ও ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজকের দিনে জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে অনেকেই জানতো না। আমি ১৫ শ টাকার তেল কিনে নিয়েছি।
মেহেরপুর মেসার্স নুর ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে আসা আব্দুর রহমান, হাসানুজ্জামান, শরিয়তুল্লাহ বলেন, জানতামনা জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে। অন্যদিনের মত মোটরসাইকেলে তেল নিতে এসে দেখি ফিলিং স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। তেলের দাবিতে মানুষের আকুল আবেদন দেখে মনে হলো দেশে তেলের জন্য হাহাকার হয়ে পড়েছে।
মফিজুল ইসলাম বলেন, সরকার হুট করে লিটারে প্রায় ৪১ টাকা বাড়িয়েছে। স্বরণকালের মধ্যে এটাই বড় ধরনের দাম বাড়ানো। এটা উচিৎ হয়নি। সরকারের উচিৎ বিষয়টি ভেবে দেখা।
প্রাইভেট চালক রতন আলী বলেন, জ্বালানী দাম বাড়লো এক লাফেই প্রায় ৪০ টাকা এবার ভাড়া বাড়বে।
মেহেরপুর শহরের কামরুল ফিলিং স্টেশন, মেহেরপুর ফিলিং স্টেশন, বামন্দী ফিলিং স্টেশন, কিবরিয়া ফিলিং স্টেশন, মুজিবনগর ফিলিং স্টেশনসহ বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের জন্য মানুষকে হাহাকার করতে দেখা গেছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে, কোনো কোনো ফিলিং স্টেশনে আবার রাত ১০টার পর থেকে ২০০, টাকা, কোথায় ৫ শ টাকার বেশি তেল দেওয়া হচ্ছে না। আবার কিছু এলাকায় ফিলিং স্টেশন বন্ধ রেখে কর্মচারী ও মালিক লাপাত্তা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানোর পর ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।