স্কুল প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও ১কি.মি পাঁকা রাস্তার অভাবে ভোগান্তিতে আছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। উপজেলার শিংগা গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী ফলসী গ্রামে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ ১কি.মি হলেও নির্মানের অভাবে রাস্তাটি সেই কাঁচাই রয়ে গেছে। ফলসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী শিংগা গ্রামের এবং তাদের একমাত্র রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। সভাপতি হয় আর প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু সেদিকে নজর দেয়নি কেউই।
১৯৯৩ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিংগা গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা শুকনো মৌসুমে কাঁচা রাস্তায় পায়ে হেঁটে যাতায়াত করলেও, বর্ষা মৌসুমে পড়তে হয় নিদারুণ দুর্ভোগে। বছরের ৬ মাস হাঁটু কাঁদায় রাস্তাটি হয়ে পড়ে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা রাস্তা উন্নয়নের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান এমপিসহ বিভিন্ন মহলে ধর্না দিলেও কোন ফল পায়নি। ব্যাপারে শিংগা গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমানের কাছে রাস্তা উন্নয়নের জন্য একাধিকবার আর্জি জানালেও তাতে সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে ফলসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও ধর্মীয় শিক্ষক মাওঃ আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী শিংগা গ্রামের যাদের আসা-যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পাঁকা করা খুব জরুরী। অন্যথায় দিন দিন ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলেও তারা আশঙ্কা করেন।
এছাড়া, এলাকার সাধারণ মানুষের ধারণা, সরকার শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিলেও, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের গ্রুপিং, লবিং, দুর্নীতি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উদাসীনতার কারণে এতদিনেও রাস্তাটি আইডি ভুক্ত না হওয়ায় উন্নয়ন হয়নি। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল নাফিস তানজিম বলেন এই রাস্তাটির কোন আইডি নাই তাই রাস্তাটি এলজিইডি নির্মাণ করতে পারছেনা।
এব্যপারে ফলসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমানের মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবসীর প্রাণের দাবী তাদের দূর্ভোগ কমাতে রাস্তাটি দ্রুত পাঁকা করা হোক।