‘লবনাক্ততা কমিয়ে পানির প্রবাহ বাড়াচ্ছে গড়াই নদী প্রকল্প। গড়াই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে আওয়ামী সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো নদী শাসন করে জমি পুনরুদ্ধার করা। এখানে ড্রেজিং করে প্রায় ১৭ বর্গকিমি জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। যাতে ফসল করতে পারি, ফ্ল্যাড প্লেইন রাখতে পারি, শিল্পকারখানাসহ বিনোদন কেন্দ্র করতে পারি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদরের মহানগরটেকে চলমান ‘গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বৃক্ষরোপণ কার্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশের কোথায় দুর্নীতি হয় না! এখন সব জায়গায় দুর্নীতি আছে। দুর্নীতি হলো এক ধরণের সামাজিক ব্যাধি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের সমালোচনা করে বলেন, আপনারা যদি কাজ শুরুর আগেই সব জায়গায় দুর্নীতি খুঁজে বেড়ান তাহলে কি করে চলবে? আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন তাহলে আমার দুর্নীতি নির্মূল করতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সুনামগঞ্জে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হয় পানি না কমার জন্য। পানি না কমলে পিআইসি কমিটি হয় না। দুর্নীতিমুক্ত কাজের মান নিশ্চিতকল্পে সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন করতে আসি।
প্রসঙ্গত, ৪৫.২৫ কিমি ড্রেজিং এর লক্ষ্যে সরকারী অর্থায়নে চলমান প্রকল্পটির সমাপ্তকাল জুন-২০২২। নদীর উৎসমুখ হতে ১৩ কি:মি: পর্যন্ত চলা জরিপ মতে এখানে বছরে প্রায় ৭০ লাখ ঘনমিটার পলি জমে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব ৭ টি ড্রেজার দ্বারা প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার ঘনমিটার পলি/সিল্ট ড্রেজিং হচ্ছে। বাড়াচ্ছে নাব্যতা, বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি প্রবাহ ও সুবিধা পাচ্ছে কৃষিব্যবস্থা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড.মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর জোন) আব্দুল হেকিম, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজার) আব্দুল ওয়াহাব, প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানসহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ।