নিবন্ধন জটিলতা কাটিয়ে শনিবার রাতে মাঠে নামলেন রবের্ত লেওয়ানডস্কি, রাফিনিয়া ও উসমান দেম্বেলে।
নব্বই মিনিট ধরে একের পর এক তারা আক্রমণও চালালেন; কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারলেন না কেউ।
ম্যাচের প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল বার্সেলোনার দখলে। গোলের জন্য অন্তত ২১টি শট করে মাত্র ছয়টি লক্ষ্য বরাবর রাখতে পেরেছে তারা। কিন্তু পায়নি কোনো গোল।
ফলে নিজেদের মাঠ কাম্প ন্যুয়ে রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সেলোনা। পয়েন্ট হারিয়ে লা লিগা অভিযান শুরু হলো জাভি হার্নান্দেসের দলের।
অবশ্য ১০ম মিনিটেই জালের দেখা পেয়েছিলেন লেওয়ানডস্কি। কিন্তু অফসাইড আইনে গোল বাতিল হয়।
এরপর শুরু হয় একের পর এক সুযোগ হারানো। ১৮তম মিনিটে এ পোলিশ তারকার পাস ধরে দেম্বেলের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন ভাইয়েকানোর গোলরক্ষক।
৩৬তম মিনিটে ডি-বক্সের মুখে বল পেয়েও ভুল শট নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেদ্রি।
হতাশায় প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য গোল খেয়ে বসছিল বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে তরুণ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সের্হিও কামেইয়ো গোলরক্ষককেও কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন; তবে তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
গোলের দেখা না পেয়ে ৬০তম মিনিটে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনেন কোচ জাভি। রাফিনিয়ার বদলি নামা আনসু ফাতিকে। তার একটি দুর্দান্ত শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
এর তিন মিনিট পর সের্হিও বুসকেতসের বুলেট গতির শটও দারুণ নৈপুণ্যে ফেরান গোলরক্ষক স্তই দিমিত্রিয়েভস্কি।
আক্রমণের ধার আরও বাড়াতে ৮৪তম মিনিটে ডিফেন্ডার আলবাকে তুলে ফরোয়ার্ড পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংকে নামান জাভি। মাঠে নামার পরের মিনিটেই ব্যবধান গড়ে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু তার শট রক্ষণে প্রতিহত হয় আর ফিরতি বলে লেওয়ানডস্কির শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এর চার মিনিট পর ফাতির শট গোলরক্ষক ঠেকান। কিন্তু ফঁক কেসিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন। কিন্তু ম্যাচে সেই অফসাইডের আইনে সেই গোলও বাতিল হয়।
শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে দিয়ে। প্রতিপক্ষের তারকা ফরোয়ার্ড রাদামেল ফ্যালকাওকে কড়া ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের ফলে লাল কার্ড দেখেন বার্সার অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস।