চীনের সীমানা পেরিয়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে। কোথা থেকে উৎপত্তি হল এই ভাইরাসের তা নিয়ে হয়েছে বহু আলোচনা। চীনের উহানের সিফুড মার্কেট থেকে নাকি ল্যাবরেটরি থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অবশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার জানিয়ে দিল, গত বছর শেষের দিকে চীনের কোনও পশুর শরীর থেকেই তৈরি হয়েছে করোনা। কোনও ষড়যন্ত্র করে বা ল্যাবরেটরি থেকে কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি হয়নি।
গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, সারা বিশ্ব জুড়ে হাহাকার তৈরি করা এই প্রাণঘাতী ভাইরাস উহানের ল্যাবরেটরি থেকে তৈরি হয়েছে কিনা সেই তথ্য বের করার জন্য তিনি উঠে পড়ে লেগেছেন।
ডব্লিউএইচও এর মুখপাত্র ফাডেলা শইব বলছেন, সমস্ত প্রামাণ্য তথ্য খতিয়ে দেখার পরে এটাই বোঝা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের উৎস কোনও পশু থেকে। এটি ল্যাবরেটরি থেকে তৈরি হয়নি। পশুর শরীর থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি এমন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলছেন, খুব সম্ভবত বাদুড়ের শরীর থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। কিন্তু এই ভাইরাস বাদুড় থেকে কীভাবে মানুষের শরীরে সংক্রামিত হল সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
করোনা ভাইরাস মহামারির বিষয়ে ডব্লিউএইচও যেভাবে কাজ করছে তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি জাতিসংঘের এই সংস্থাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করবেন না। এই প্রসঙ্গে ফাডেলা বলছেন, আমরা বিষয়টিকে এখনও খতিয়ে দেখছি। কোনও রকম ফাঁক থাকলে তা পূরণ করার জন্য আমি আমাদের পার্টনারদের সঙ্গে কাজ করছি। শুধু কোভিড-১৯ নয় আরও অনেকগুলো হেলথ প্রোগ্রামের জন্য আমরা যে কাজ করছিলাম সেগুলো আমাদের চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি জানান, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, পোলিওর মতো রোগের জন্যও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২ বছরের জন্য ৮১ শতাংশ ফান্ড ছিল। আর এই ফান্ডের অধিকাংশ আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ও ব্রিটেনের গেটস ফাউন্ডেশন থেকে। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন