বীজ ভান্ডারের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে ক্ষতিপুরণ পেল ঝিনাইদহের ৭ জন কৃষক। শহরের অগ্নিবীণা সড়কের শহিদ বীজ ভান্ডার থেকে ধানের বীজ কিনে প্রতারিত হওয়ায় তারা এই ক্ষতিপূরণ পান।
ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন- হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জনাব আলী, আজিজার মন্ডল, আতিয়ার রহমান, নজির আলী খাঁ, সজল হোসেন, আকাশ মিয়া, লিমন হোসেন।
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, শহরের অগ্নিবীণা সড়কের শহিদ বীজ ভান্ডার হতে চলতি মৌসুমে আবাদের জন্য স্বর্ণা ধানের বীজ ক্রয় করেন ওই ৭ কৃষক। বীজতলায় বীজ বপনের পর স্বাভাবিকভাবেই চারা গজায়। কিন্তু বীজতলা হতে চারা তুলে জমিতে রোপন করার কয়েকদিন পর স্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিবর্তে চারা হতে শীষ গজাতে শুরু করে। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করে তার। বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ করেন তারা। শহিদ বীজ ভান্ডার সিলে স্বর্ণা নামের জাত বলে বিক্রি করে। অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ করার পর জাতটি অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। পরে অভিযোগ শুনানী ও সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায়।
এসময় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বিঘা প্রতি ৯ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দাবী করে। পরবর্তীতে অভিযোগ মিমাংসার মাধ্যমে ৭ জন কৃষকের ২৫ বিঘা জমির জন্য ২ লাখ ২৯ হাজার ৫’শ টাকা ক্ষতিপুরণ দেয় ওই প্রতিষ্ঠানটি।