শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই জনতার ঢল দেখা গেছে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। সকাল ৭টা ৫ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শুরু হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে শহিহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টা ২২ মিনিটে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে সর্বস্তরের জনগণ শহিদ বেদীতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এর আগে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতি ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া আলোচনাসভার আয়োজন করেছে অনেক দল ও সংগঠন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে।
রাতের অন্ধকারে বাসা কিংবা কর্মস্থল থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে তারা শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা। দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে।
সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।