কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক ছাত্রী তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রী। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। আত্মহত্যা করার আগে ওই ছাত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, দেশে এমন শিক্ষক আরও কোন ছাত্রীর জীবনে না আসুক। সবাই আমায় মাফ করবেন।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৭ সালে উপজেলার কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন তিনি। বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন গণিতের এক শিক্ষক রাসেল আহমেদের কাছে প্রাইভেট পড়তেন তিনি। রাসেল আহমেদ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। প্রাইভেট পড়ার সময় রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সেই ছাত্রীর। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়ায় এক পর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। কিছুদিন আগে রাসেল গোপনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন। এমন খবর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ সেই ছাত্রী আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যা করার আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ছাত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় আমার প্রিয় শিক্ষক। আর সেই ভাগ্যবান ছাত্রী আমি নিজে। আল্লাহ আমায় মাফ করো। দেশে এমন শিক্ষক আরও কোন ছাত্রীর জীবনে না আসুক। সবাই আমায় মাফ করবেন, সদ্য এসএসসি পাস করা একটা মেয়ে বিয়ের মানে-এসব জানতামই না। ভদ্র স্যারকে বিশ্বাস করতাম, যা বলতো তাই শুনতাম। যাই হোক, ভাল থাক সে….বিদায়।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন