শিশু নুসরাত সালিশের মাধ্যমে ফিরে পেল নতুন জীবন। গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ সেন্টু আলীর ছেলে মোঃ আকাশ আলীর সাথে একই উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মোঃ ইউনুছ আলীর কন্যা মোছাঃ রেনুয়ারা খাতুনের প্রায় চার বছর আগে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।
বৈবাহিক জীবনে কোল আলো করে আসে একটি কন্যা সন্তান নুসরাত ফাহরিয়া। তার বয়স এখন দুই বছর। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে চরম অবনতি হয়। মোঃ আকাশ আলী এলাকার বিভিন্ন মাধ্যমে স্থানীয় সালিশ নিয়ে কাজ করে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর কথা, ফলে মোঃ আকাশ আলী বাদী হয়ে, স্ত্রী রেনুয়ারার সাথে ঘর-সংসার করতে চাই এই মর্মে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক)এ উপস্থিত হয়ে সালিশ ইউনিটে একটি লিখিত আবেদন দায়ের করেন।
উক্ত আবেদনে আরও জানান আগের সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সামনের দিন গুলোতে সুখে শান্তিতে বাস করতে চাই। এর ফলে মউক তাঁদের আইন সহায়তার সমৃদ্ধি ইউনিট থেকে উভয় পক্ষদ্বয়কে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে উভয় পক্ষেকে সম্মতি করিয়ে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে স্থানীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রেনুয়ারাকে আকাশ আলীর সংসারে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
এর মধ্যেমে দুই পরিবারে ফিরে এলো সুখ শান্তি, সালিশে উপস্থিত সকলে (মউক) এর কার্যক্রমকে ধন্যবাদ জানান এবং মউক যেন আগামীতে আরও এই ধননের কর্মসূচী অব্যহত রাখেন এই প্রত্যাশা করেন। সালিশ পরিচালনা করেন মউক এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাহিমা খাতুন।