বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) কমিটির অন ল মনিটারিং চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি ডা: দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুয়েলারি ব্যবসাকে চোরের অপবাদ থেকে মুক্ত করে বৈধ ব্যবসা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আর দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর মালিক সায়েম সোবহান চৌধুরী আনভীর এ ব্যবসাকে ৬ মাসের মধ্যে একটি শিল্প বিপ্লবে রুপ দিয়েছেন। এই ৬ মাসের মধ্যে জুয়েলারি ব্যবসাীদের মধ্যে একটি উচ্ছাস উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছেন তিনি। বাজুসকে একটি শক্তিশালী গতিশীল ও কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) মেহেরপুর জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার বিকালে বাজুস মেহেরপুর জেলা শাখার কাঁসারি পাড়ার কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাজুস মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি কিশোর পাত্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বর্ণ আমদানী করছে। প্রসার হচ্ছে স্বর্ণ শিল্পর সাথে জড়িত জুয়েলারি ব্যবসা। এদেশেই আন্তর্জাতিক মানের স্বর্ণালংকার তৈরী করা সম্ভব। পরনির্ভরতা কমিয়ে জুয়েলারি ব্যবসাকে এদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান জিসেবে গড়ে তুলবো আমরা। এই ব্যবসা এখন শুধু শহর কেন্দ্রীক। তাই এই ব্যবসাকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা: দিলীপ কুমার রায় আরো বলেন, সৎভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার সুযোগ করে দিতে বাজুসের বর্তমান কমিটির সভাপতি সায়েম সোবহান চৌধুরী আনভীর জুয়েলারি ব্যবসাীদের এ শিল্পের লাইসেন্স, সার্টিফিকেট, ব্যাংক লোনসহ সব ধরনের সুযোগ তৈরী করে দেবেন। এ সুযোগ এই ব্যবসার সাথে জড়িতদের গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের জুয়েলারি অলংকার দেশের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিকীক বাজারে রপ্তানি করবো। এদেশের সরকার ও দেশের উন্নয়নেও বাজুস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অংশ নেবে উন্নয়নের মহাসড়কে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এ্যাডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল এন্ড মেম্বরশীপ কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সচীব মো: রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটারিং কমিটির সদস্য রকিবুল হাসান চৌধুরী।
মেহেরপুর জেলাকে মুক্তিযুদ্ধের পাঠশালা উল্লেখ করে মতবিনিময় সভার বিশেষ অতিথি বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এ্যাডিটর রুহুল আমিন রাসেল বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহি বাণিজ্যিক সংগঠন বাজুস। এটিকে আরো শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সারাদেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জুয়েলারি ব্যাবসায়ীদের এক ছাতার তলে আনতে হবে।
মেহেরপুর জেলার সকল জুয়েলারি ব্যবসাীদের বাজুসের সদস্য হিসেবে যুক্ত করার জন্য সংগঠণের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, অজপাড়া গাঁ আর ঢাকার জুয়েলারি ব্যবসাীদের সমস্যা একই ধরনের। আর এই সমস্যার সমাধানে বাজুস কাজ করবে। বাজুসের যেকোনো সদস্যের সমস্যা হলে বাজুস তাদের পাশে দাুড়াবে। এজন্য বাজুসের সকল সদস্যদের আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
বাজুস মেহেরপুর জেলা শাখার সম্পাদক শেখ মোমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,চুয়াডাঙ্গা জেলা বাজুসের সভাপতি টোটেন জোয়ার্দ্দার, মাগুরা জেলা বাজুসের আহবায়ক তাপস দত্ত, যশোর জেলা বাজুসের সাংগাঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মিঠু গাংনী উপজেলা বাজুসের সভাপতি সুশান্ত কুমার পাত্র প্রমুখ।