এলজিইডি’র শৈলকুপা-মাধবপুর আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত শৈলকুপা শহরে ও জেলা শহরে। কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে অথবা মাঠে। অথচ ৩ বছরেরও বেশী সময় জনগুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক সড়কটির সীমান্ত বাজার এলাকার কালভার্টটির একটি অংশ ভেঙ্গে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটলেও সংস্কার ও সতর্কতা মূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহনে টনক নড়েনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার এলজিইডি কর্মকর্তাদের।
দামুকদিয়া গ্রামের মজনু মোল্যা জানান, এলজিইডি’র শৈলকুপা-মাধবপুর সড়কটি দিয়ে নাগিরহাট, মাধবপুর, বিষ্ণুদিয়া, লক্ষিপুর, চর লক্ষিপুর, দামুকদিয়া, শিতালী, দল্লিপুর সহ ১০/১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা উপজেলা শহরে ও বিভিন্ন হাট বাজারে পন্য নিয়ে যাতায়াত করে। গত তিন বছর হলো সীমান্ত বাজার এলাকার এ কালভার্টটি ভেঙ্গে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষ সহ গবাদী পশু এ কালভার্টটি দিয়ে পারাপারের সময় নীচে পরে আহত হয়। অথচ কর্তৃপক্ষের নজরেই আসে না এটা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার।
শৈলকুপা-মাধবপুর সড়কের পাশের বাসিন্দা নিশান শেখ জানান, মহিষের গাড়ি নিয়ে মাঠে যাতায়াত কালে এক অংশ ভাঙ্গা কালভার্ট পার হওয়ার সময় কয়েকদিন তার হালের মহিষ নীচে পরে আহত হয়। এছাড়া রাতে অচেনা পথচারীরা এ কালভার্টে পরে আহত হয় প্রতিদিন।
সড়কের পাশের অপর বাসিন্দা দামুকদিয়া গ্রামের আবুল কালাম জানান, কয়েক বছর সীমান্ত বাজার এলাকার সড়কের কালভার্টটি ভেঙ্গে পরে থাকলেও কর্তৃপক্ষ মেরামত না করায় এলাকাবাসিরা বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কালভার্টের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে ভ্যান ও ছোট যানবাহন চলাচলের উপযোগী করেছেন বলে জানান।
এলজিইডি’র শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিবের সাথে ভাঙ্গা কালভার্টটি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, কয়েকটি কালভার্ট মেরামতের তালিকা পাঠানো হয়েছে, হয়তো তার মধ্যে শৈলকুপা-মাধবপুর সড়কের কালভার্টটি থাকতে পারে।