ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাদীর লোকজন এক আসামীকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা শৈলকুপা থানার এক এসআই ও পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনকে ঘেরাও করে এলাকাবাসি সেইসাথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ এলাকায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হাবিবপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে আশা ছুরিকাঘাতে আহত হয় । এঘটনায় আশার পরিবার গাড়াগঞ্জ-মহেশপুরের সজিবুল ও তার পিতা আশরাফুল সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এলাকাবাসিরা জানায়,ঘটনার পরদিন শনিবার রাত ৯-৩০ টার দিকে থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন সহ কয়েকজন সাদা পোষাকে অভিযুক্তদের ধরতে গাড়াগঞ্জ যায়, সে সময় বাদীপক্ষের লোকজনও হাজির হয় এরপর গাড়াগঞ্জ স্ট্যান্ডে বসে থাকা আশরাফুলকে পেয়ে বাদিপক্ষের লোকজন মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বাড়ে।এরপর সাদা পোশাকধারী এসআই সাজ্জাদ পুলিশ পরিচয় দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বাদীপক্ষের লোকজন পালিয়ে গেলেও এসআই সাজ্জাদ, কনস্টেবল রাশেদ ও বাদীপক্ষের হাফিজকে ঘিরে রাখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ।
গাড়াগঞ্জ বাস ষ্ট্যান্ডের বাসিন্দা সজল বলেন,পুলিশের উপস্থিতিতে এমন হামলার ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।
ঘটনার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। প্রায় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধের পরে সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম ও শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। পরে হাফিজ, পুলিশের এসআই সাজ্জাদ এবং কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানা ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে বাদীপক্ষের হাফিজ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে, মামলা শেষে তাকে কোর্টে সোপর্দ করা হব্।ে
।