ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রহস্য জনক কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অবৈধ ইট ভাটা গুড়িয়ে দেয়ার কার্যক্রম। গত বৃহস্পতিবার শৈলকুপার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন লোকালয় ও কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা ১০টি ভাটা সম্পূর্ণরুপে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে অজ্ঞাত কারণে পৌর এলাকার কাজী পাড়ায় একটি অবৈধ ভাটা অক্ষত রয়ে গেছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা বারবার এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালকসহ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ।
এমন ঘটনায় উপজেলা জুড়ে এ কার্যক্রম নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে। বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু ভাটা রেখে, কেন কিছু কিছু ভাটা ভাঙ্গা হলো আর কেনই বা অন্যান্য অবৈধ ভাটা থেকে গেল তার হিসাব মিলছে না সচেতন মানুষের কাছে।
অনেকেই মন্তব্য করেছেন তাহলে কেন গুটি কয়েক ভাটায় এ অপারেশন সীমাবদ্ধ রাখলেন, তবে কি বাকি মালিক দ্বারা কোন অন্ধকার রাস্তায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন তারা ? কি বলবেন একে অমানবিক নাকি অন্য কোন দূরভিসন্ধি ?
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ২২ টি অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০টি ভেঙ্গে দিয়েছে যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর, আরো থেকে গেছে ১২ টি অবৈধ ভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা, জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেই এমন ভাটাগুলি সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দিতে অভিযানে নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার অবশ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার থেকে ঝিনাইদহ জেলায় অভিযান শুরু হয়েছে। যে ইটভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেই, এমন সব ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।