ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌর প্লান ও আইন লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকূপা পৌরসভার ৮ নম্বর কবিরপূর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসি প্রদীপ সরকার ১২৪নং কবিরপূর মৌজার ২৫০ নম্বর (সাবেক ৩৮) দাগে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ী পৌর প্লান পাস করে নির্মাণ করেন।
সেখানে তার জমি রয়েছে ১৪ শতক। কিন্তু ঐ জমির পশ্চিম পাশের বাসিন্দা গোপাল সাহা ও তার পুত্র অরূপ সাহা বাড়ি-ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন রকম পৌর আইনের তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এমনকি তাহারা পৌর আমিন দিয়ে জমি পর্যন্ত মাপঝোক করেনি। ভবনটি তিনতলা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে এবং বর্তমানে আরো কাজ চলছে।পৌর আইন অনুসারে জায়গা রেখে বাড়ী নির্মাণ করার কথা, যার কিছুই এখানে মানা হয়নি। পাশের ভবনের সাথে লাগিয়ে নিজেদের ইচ্ছামাফিক ভবন তৈরী করে চলেছেন।
বিধি অনুসারে ভবনের ৩পাশে ৩ফুট ও রাস্তার সম্মুখ ৫ফুট করে জায়গা রাখার কথা। কিন্তু চুল পরিমান জায়গা ফাঁকা রাখা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।এলাকার বাসিন্দারা জানায় ভবন এলাকায় কোন ধরনের দুর্ঘটনা বা আগুন ধরে গেলে কোন ধরণের উদ্ধার তৎপরতা বা সেবামূলক কাজ সম্ভব নয়।
নির্মাণাধীন বাড়ীর নকশাও পৌরসভা থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে। শৈলকুপা পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগকারী প্রবাসী প্রদীপ সরকার জানান, বিদেশে অবস্থান করার সুযোগ নিয়ে এবং করোনা মহামারীর ভিতরে তাদের জানতে বা বুঝতে না দিয়ে পৌর আইনের তোয়াক্কা করেনি তারা।
টাকার জোরে নিজেদের ইচ্ছা মত প্লান করে সুকৌশলে বেআইনিভাবে বাড়ী নির্মাণ করে চলেছে। পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত জমির বিদ্যামান সীমানাও অতিক্রম করেছে।করোনা মহামারীর কারণে দেশে এসে কোনো আইনগত পদক্ষেপও (আদালত) এই মুহূর্তে নিতে পারছে না অভিযোগকারীা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণকারী অরুপ সাহা কাস্টমসে কর্মরত একজন কর্মকর্তা এবং বর্তমানে খুলনার মংলা বন্দরে কর্মরত।
একজন সরকারী কর্মকর্তা ও সচেতন মানুষ হয়ে কিভাবে তিনি আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে এমনটি করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঐ এলাকার বসতিরা।এ ব্যাপারে অরুপ সাহা লিখিত অভিযোগ ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, সেখানকার বসতি তার দুলাভাই বিপুল কুমার সাহা কে প্লান পাস ও ডিজাইনের জন্যে বলেছিলেন। তিনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে ভবন তৈরী করা হচ্ছে ।
এদিকে শৈলকুপা পৌরসভার ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ট হাফিজুর রহমান জানান, এই ভবন নির্মাণ নিয়ে পৌরসভায় অভিযোগ আসার পর সরেজমিনে প্লান ছাড়া ভবন নির্মাণের সত্যতা পেয়ে কয়েকদফা কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু যখন থাকা হয় না বা সুযোগ বুঝে আবারো ঘরের সাথে ঘর লাগিয়ে ভবন তৈরী করছে। এ ব্যাপারে পৌরসভা বিধি অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।