শৈলকুপার নাগিরাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিএজিএড জাল সনদে চাকরি করছে বাবুল হুসাইন নামের এক শিক্ষক বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ কোটে একটি মামলা দায়ের করেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি খন্দোকার গোলাম আকবর হ্যাপি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলা নাগিরাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপজেলার মকরমপুর গ্রামের মাজেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে বাবুল হুসাইন ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইং তারিখে কৃষি শিক্ষক পদে যোগদান করে। যোগদানের সময় শিক্ষক বাবুল হোসেন তার সমস্ত পাশের আসল সনদ জমা না দিয়ে সে ফটোকপি জমা দিয়েছিল।
সে ২০০২ সালে এসএসসি ও ২০০৪ সালে জরিফ বিশ্বাস কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাশ করে। তখন তার ৪র্থ বিষয় ছিল কম্পিউটার শিক্ষা।
এদিকে ২০০৪ সালে উক্ত কলেজে কৃষি শিক্ষা বিষয় চালু না থাকলেও বাবুল হুসাইন তার ৪র্থ বিষয় কম্পিউটার শিক্ষার স্থলে কৃষি শিক্ষা জাল করে স্থাপন করে। জাল সনদকে আসল সনদ হিসেবে জমা দিয়ে চাকরিতে যোগদান করে এবং একই সনদ দাখিল করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে যশোরের কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজে বিএজিএড কোর্সে ভর্তি হয়ে ২০০৮ সালে পাশ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে জরিফ বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজে কৃষি শিক্ষা বিষয় চালু হয়। এদিকে এইচএসসিতে কৃষি শিক্ষা বিষয় না থাকলে কোন শিক্ষার্থী বিএজিএড কোর্সে ভর্তি হতে পারবেনা বলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
বর্তমানে বাবুল হুসাইন কৃষি শিক্ষক পদে কর্মরত থেকে সরকারী সমস্ত সুবিধা ভোগ করে চলছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নায়েব আলী ও শামীম মুন্সী জানান, তার ৪র্থ বিষয় এইচএসসিতে কৃষি শিক্ষা ছিল না কিন্তু কোন ভাবে বাবুল হুসাইন কৃষি শিক্ষক পদে নিয়োগ পেল এটা আমাদের বোধগম্য নয়।
মামলার বাদী খন্দোকার গোলাম আকবর হ্যাপি জানান তার শিক্ষকতা সনদে জালিয়াতি করার কারণে আমি বাদী হয়ে গত বছরে ১৯ জুলাই ঝিনাইদহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী শৈলকুপা আদালত ঝিনাইদহে মামলা দায়ের করেছি।
শিক্ষক বাবুল হুসাইনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক মুকুল হোসেন জানান, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি, শুনেছি তার বিরুদ্ধে কোটে মামলা হয়েছে। তবে আমার কাছে কেউ কোন কাগজপত্র চায়নি।