ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মিয়া বাবুর সহ ৫জন নিরিহ গ্রাম বাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার তুলে নিতে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সকাল ১১টায় স্থানীয় কচুয়া বাজারে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানব বন্ধনে এলাকাবাসির পক্ষে বক্তব্য রাখেন কাজী ইয়াসিন, ভুক্তভোগী ইমরানের বাবা ইদ্রিস মিয়া, মা পারুল বেগম, ভাই পলাশ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে দাবী করেন কথিত সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনির একজন চাঁদাবাজ এলাকায় বিভিন্ন ব্যাক্তি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রসাশনের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। তার নির্দিষ্ট কোন আয় নেই।
তারা প্রশ্ন করেন যে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি কি ভাবে তার সংসারের খরচ চালান? তার বৈধ আয় কি? অপহরণের যে নাটক সাজানো হয়েছে তার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারী রাত ১০ টায় তিনি অপহৃত হয়েছেন মর্মে যে মামলা থানায় দায়ের করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট। সাংবাদিকের তকমা লাগিয়ে ঘটনা টি তিনি বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়া সহ অনলাইন পত্রিকায় পরিবেশন করিয়ে বিশেষ ফায়দা নিতে চেস্টা করেছেন।
মূল ঘটনা হলো ঘটনার দিন রাতে তিনি শৈলকুপা উপজেলার ৮ নং ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামে কর্মরত কিছু নির্মান শ্রমিক যাদের বাড়ী কাঁচেরকোল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবং যারা ধাওড়া এলাকার মমিনের গোডাওনে রাত্রিযাপন করতো।
তাদের কাছে সে গিয়ে রাতটুকু থাকার জন্য অনুরোধ করে। এলাকার লোক বলে শ্রমিকেরা তাকে আশ্রয় দেয়। সকালে ঘুম থেকে জেগে শ্রমিকরা তাকে পায় না।
পরে তারা জানতে পারে যে মনির ওই এলাকায় রাস্তার পাশে হাত পা বাধা অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি ওইদিন সন্ধা রাতে একটি ব্যাটারী চালিত বাহনে শৈলকুপায় গিয়েছিলেন তাও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি মামলার আবেদনে প্রকৃত বাবার নাম উল্লেখ করেন নি।