ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একই ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা সমর্থক হিসেবে পরিচিত জসিম বিশ্বাস (৩৫) নামের আরো এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মিলন (৩২) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে।
নিহত জসিম ওই ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার ও আহত মিলন শহিদুল ইসলামের ছেলে। জসিম পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। তারা দুজনই নৌকা প্রতীকের সমর্থক।
এদিকে হারান খুনের ঘটনায় খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থান ত্যাগ করার সাথে সাথেই এ খুনের ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ নম্বর সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারের আধিপত্য নিয়ে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হারান মন্ডল নামের এক বৃদ্ধ নিহত হন।
সেসময় আহত হয় আরও ২০ জন। ওই ঘটনার ২০ ঘণ্টা যেতে না যেতেই প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হলেন জসিম বিশ্বাস নামের আরো এক ব্যক্তি।
নিহত জসিমের ভাই মুক্তার হোসেন জানান, তার ভাই জসিম ও মিলন মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস মার্কার জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকরা তার ভাইদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সাথে সাথে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জসিম বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মিলনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অর্থি বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধের জেরে এ প্রাণহানির ঘটনা। ছুরিকাঘাতে যার মৃত্যু হয়েছে তিনি নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমাদুল হাসান মামুনের সমর্থক। এ ঘটনায় আক্রমণকারীকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।