পিতা পুত্রের মধ্যে দন্দ ও মনমালিন্য থাকতেই পারে। তাই বলে রাগের বসবর্তী হয়ে পুত্রের ফসল বিনস্ট করতে হবে এমন দৃষ্টান্ত কোথাও না মিল্লেও পিতা-পুত্রের মধ্যে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে পিতা-তারই পুত্রের জমির পেঁপে ক্ষেত কেটে বিনস্ট করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
জানাগেছে, শ্যামপুর গ্রামেরর আব্দুল ওয়াহেদ আলীর ছেলে সেলিম হোসেন অন্যের কাছ থেকে দেড়বিঘা জমি বর্গা নিয়ে পেঁপে চাষ করেছেন। প্রথমবার পেঁপে বাজারজাত করেছেন। এরই মধ্যে সেলিম ও তার পিতা আব্দুল ওয়াহেদ এর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ হয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় পিতা ওয়াহেদ তার কিছু বন্ধু মিলে অর্ধেক জমির পেঁপেসহ পেঁপে গাছ কেটে বিনস্ট করেন বলে অভিযোগ করেন পেঁপে চাষি সেলিম হোসেন। তিনি বলেন, সকালে পেঁপের গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করতে গিয়ে দেখেন তার জমির অর্ধেক পেঁপে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ অমানবিক দৃশ্য দেখে কান্যায় ভেঙ্গে পড়েন সেলিম। পেঁপে চাষ করতে গিয়ে জমির বর্গা খরচ ও সার,বীজ ও কীটনাশক করচ বাবদ বেশ কিছু টাকা ঋণ গ্রস্থ হয়েছেন। আবাদ শেষে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা। এমতাবস্থায় পেঁপে গাছ কেটে দেয়ায় মোটা টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় সেলিমের।
পেঁপে চাষি সেলিম হোসেনের পিতা আব্দুল ওযাহেদ বলেন,পেঁপে গাছ কাটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, মানুষের সাথে মানুষের দ্বন্দ থাকতে পারে,সেই শত্রুতার জেরে কৃষকের ফলানো ফসল বিনস্ট খুবই ন্যাক্কার জনক। ফসল বিনস্টকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্থ পেঁপে চাষী সহযোগীতা চাইলে দেয়া হবে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহদারা বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি,অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।