জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, সকলকেই মিতব্যয়ীতা অনুসরণ ও অনুশিলন করতে হবে। সকলে মিতব্যয়িতা অনুশীলন করলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে ৭দিন ব্যাপী বৃক্ষমেলা ও বৃক্ষরোপন অভিযানে উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সমস্যা তৈরী হয়েছে। এ সমস্যা আমাদের একার নয়। এই মূহূর্তে সারা বিশ্ব জ্বালানি সংকক সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপের গ্যাস এবং তেল বন্ধ হচ্ছে। ইউরোপের দেশগুলোতে জিনিসপত্রের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে সবকিছু সমন্বয় করে আমরা এখন পর্যন্ত স্মার্টলি চলছি। আমরা বিপদে পড়তে চাইনা। আমাদের সরকার সতর্ক রয়েছে। আমরা মিতব্যয়িতা করতে চাচ্ছি। বিদ্যুৎ পানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের অপ্রতুল। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের মিতব্যয়ি হতে হবে। এসব ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় থেকে দুরে থাকতে হবে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ি হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিগত ২০০৫ সালে বাংলাদেশে মাত্র চল্লিশ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। এখন শতভাগ ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সবাই এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে জ্বালানি লাগে সেটা বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় । ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ¦ালানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যে জ্বালানি আমদানী করতে হয়, সরকার সেটি ভর্তূকি দিচ্ছে। ভর্তূকির এ টাকা জনগণের টাকা। তাই সকলকেই মিতব্যয়িতা অনুসরণ ও অনুশীলন করতে। এই সময়ে সকলে মিত্যয়িতা অনুশীলন করলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। আগামী অক্টোবর মাসের দিকে ঠান্ডা আবহাওয়া শুরু হলে বিদ্যুতের চাহিদা কমতে থাকবে।
এসময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামান মালেক উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ২০টি স্টল সাজানো হয়েছে।