বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এবার এক নবজাতকের করোনামুক্তির খবর মিলেছে। থাইল্যান্ডে মাত্র এক মাস বয়সী এক শিশুর করোনা ধরা পড়লে তার বাঁচা নিয়েই শঙ্কা ছিল। তবে সে এখন সুস্থ। আর সুস্থ হয়েই কম বয়সে করোনামুক্তির রেকর্ড গড়েছে শিশুটি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মের পরপরই করোনায় আক্রান্ত হয় থাইল্যান্ডের মাত্র এক মাস বয়সী এক শিশু। শিশুটিকে বাঁচানো যাবে কিনা এ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয় খোদ চিকৎসকদের মধ্যেও। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মহামারি করোনাকে হারানো ওই নবজাতকের নাম উঠেছে রেকর্ডের খাতায়।
শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ওই নবজাতকের চিকিৎসা করেছেন তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মহামারি করোনা থেকে আরোগ্য করে তুলতে ওই শিশুটির জন্য তিনি চারটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যবহার করেন। যার ফল হয়েছে ইতিবাচক।
রাজধানী ব্যাংককের বামরাসনারাদুরা সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের ওই চিকিৎসকের নাম বিশাল মুলাসারত। তিনি বলেন, ‘শিশুটির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত কৌশলটি ছিল তাকে ১০ দিন ওষুধ দেওয়া। আমরা প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি এবং ওষুধ দেওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিন পর তার এক্স-রে করা হলে ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮২৬ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৯ জন মারা গেছেন। তবে আশাব্যঞ্জক খবর হলো আক্রান্ত ২৮শ এর বেশি রোগীর মধ্যে ২ হাজার ৩৫২ জন রোগী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ প্রায় ৮৪ শতাংশ রোগীই এখন সুস্থ। সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন