দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর আগামি ২৭ অক্টোবর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রাণচাঞ্চল্য নেই প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের মধ্যে। তবে দলটির মধ্যে সকল প্রস্তুতি চলছে।
এ পর্যন্ত সভাপতি পদের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের নাম শোনা গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত ১৫ জন প্রার্থীর নাম ঘুরপাক খাচ্ছে নেতা কর্মীদের মাঝে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য না থাকার কারন হিসেবে নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন গাংনীর শীর্ষ নেতার আর্শিবাদের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তারা। এই শীর্ষ নেতারা যাকে চাইবেন তাই দলীয় পদ পদবীতে আসবেন একারনে কিছুটা নীবর অবস্থানে রয়েছে কর্মীরা।
এ পর্যন্ত সভাপতি পদের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের নাম শোনা গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে গোলাম মোস্তফা, সাবেক মেয়র আহমেদ আলী, যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা মকলেচুর রহমান মুকুল, অ্যাড. শফিকুল আলম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, যুগ্ন সম্পাদক নাজমুল হুদা বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম জুয়েল, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান আতু।
সাধারণ সম্পাদক পদে এত প্রার্থী হওয়ার কারন কি জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, সাধারণ সম্পাদক পদ না পেলেও অন্তত যুগ্ন সম্পাদক কিংবা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাবো এমন আশায় সম্পাদক পদে প্রার্থী হবো।
গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, দীর্ঘদিন পর আওয়ামীলীগের সম্মেলন আনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রস্তুুতিও রয়েছে। সম্মেলন কে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীরা উজ্জিবিত অবস্থায় রয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া ও সাবেক ছাত্রনেতারা ও বড় দল হওয়ার অনেক যোগ্য নেতা তৈরি হয়েছে। এসব কারনে প্রার্থী বেশি হচ্ছে। আশা করি সুন্দর ও সফল ভাবে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
গাংনী প্রতিনিধি: