ঢাকার সিনেমায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেলেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চন। ২৯ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। এ সম্মাননা প্রাপ্তি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও সিনেমার কিছু বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন। অনুভূতি কেমন?
** রাষ্ট্র আমাকে সম্মাননা দিয়েছে। আমার অভিনয় তাদের ভালো লেগেছে বলেই বিচার-বিবেচনা করে দিয়েছে, এটি আনন্দের বিষয় বটে। তবে আজীবন সম্মাননা পেলে একজন শিল্পী যতটুকু খুশি হতে পারে ততটুকু হতে পারিনি। মনের ভেতর খারাপ লাগা আছে!
* কিসের খারাপ লাগা?
** আজীবন সম্মাননা একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। এটি বিগত কয়েক বছর ধরে যৌথভাবে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি পজেটিভ মনে হচ্ছে না। এ পুরস্কার যৌথভাবে দেওয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না। আমি ভাবছি কয়েক বছর পর আজীবন সম্মাননা কাকে দিবে। যৌথভাবে দিতে থাকলে পরে তো শিল্পী পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। যারা উপযুক্ত তাদের একজন করেই দেওয়া হোক। উদাহরণ হিসাবে বলি, ‘এবার ডলি জহুরকে দিয়ে আমাকে না হয় পরেরবারই দিত। বিষয়টি আরও ভালো লাগত। যৌথভাবে দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে বেশি আনন্দ দিতে পারেনি।
* এবারের আজীবন সম্মাননা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়ই অবগত আছেন…
** জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক সব সময়ই থাকে। শুধু যে এবার তা কিন্তু নয়। সিনিয়র-জুনিয়র বিবেচনা করা হলে আমাদের সিনিয়র তো অনেকেই আছেন। সবাইকে কি দেওয়া হবে? দেওয়া উচিত? সম্মাননা দেওয়া হয় কাজের উপর বিচার করে। এটা ঠিক আরও অনেক যোগ্য শিল্পী আছেন যারা এ সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য। তারা যে একেবারেই পাবেন না বিষয়টি এমন নয়। আগামীতে পাবেন বা তার পরের বার। এ নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনা করার প্রয়োজন বোধ করি না।
* বর্তমানে অভিনয় ব্যস্ততা কেমন?
** আমার অভিনীত তিনটি সিনেমায় আমার কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ‘নেত্রী : দ্য লিডার’, ‘ফিরে দেখা’ ও ‘বাংলার ফাটাকেস্ট’। সিনেমাগুলো শিগ্গির মুক্তি দেওয়া হবে বলে শুনেছি। সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছি। আগামীতে কয়েকটি নতুন নাটকেও অভিনয়ের কথা চলছে।
সূত্র:যুগান্তর