দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের লোকনাথপুর হাইস্কুল সংলগ্ন মাঝপাড়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কাজ। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে কৃষি জমি ধ্বংস করে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কাজ চলমান থাকলেও রহস্য জনক কারণে বন্ধ হয়নি ধ্বংসের মহোৎসব।
প্রাপ্ত তথ্যে সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত লোকনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পেরিয়ে মাঝপাড়া মসজিদ সংলগ্ন স্থানে প্রায় ২০ বিঘা কৃষি জমি ধ্বংস মেতেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যু হাউলি ইউনিয়ন লোকনাথপুর গ্রামের হুমান সহ একাধিক সিন্ডিকেট চক্র।
এসকল ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট চক্রের আয়োজনে প্রতিদিনই ১০-১৫ টি অবৈধ যান ট্রাক্টর ভিড়িয়ে কিশোর চাকলকদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলে চরম ভোগান্তি পড়ছে পথচারী সহ স্থানীয়রা।
কৃষি জমি থেকে খননকৃত সকল মাঠি যাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন স্থানের নির্মিত ইটের ভাটার পেটে। উল্লেখিত স্থানটিতে দীর্ঘদিন যাবত মাটি খনন করা হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষে থেকে নেওয়া হয়নি তেমন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
রহস্য জনক কারণে বন্ধ হয়নি কৃষি জমি থেকে মাটি খননের কাজও। স্থানটিতে অনেকটাই নির্বিঘ্নে চলছে পুকুর খননের কাজের মহোৎসব।
ফলে অতি মুনাফালোভী ও ভূমিদস্যুদের এমন কর্মকান্ডে পরিবেশর চরম ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ও সচেতন মহল।
প্রভাবশালী এ ভূমিদস্যুদের হরহামেশাই অবৈধভাবে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রির জন্য সরকারি ব্যায়ে নির্মিত যে সকল রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে সেসব রাস্তা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ যানবাহনের অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গতির ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হওয়া সহ যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে কয়েকজন পথচারীর সাথে কথা হলে তারা জানান, লেকনাথপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ফসলি জমিতে চলছে মাটি কেটে ইটের ভাটা, বাসা বাড়ি, গর্ত ভরাটের কাজে বিক্রি।
কাজেই এ সড়ক সহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবৈধ ট্রাক চাকলদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে চরম বিশৃঙ্খলা। ধুলাবালি আর ভোগান্তি। জানতাম জমির পরিবর্তন করতে সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন পড়ে।
ফসলি জমি ধ্বংস করে তো পুকুর খনন নিষিদ্ধ। কৃষি ও কৃষক সমাজ রক্ষার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি