ফেসবুক, ইমোসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সামাজিক বিভিন্ন শালিসের বিষয়বস্তুই হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে নিয়ে। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, উপাত্ত, আপত্তিকর কনটেন্ট প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে এ ধরণের অপরাধ করছে এক শ্রেণীর অপরাধীরা।
দ্রুত এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। একই সঙ্গে অভিভাবকদের এ বিষয়টি গুরত্ব সহকারে নিয়ে কিশোর সন্তানদের নজরে রাখতে হবে।
সাইবার অপরাধের সূত্র ধরে সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরা আন্তর্জাতিক ডার্কসাইটের নিবন্ধনকৃত সদস্য। তারা কিশোরী মেয়েদের ফুসলিয়ে তাদের কাছে থেকে পর্ণোগ্রাফির কনটেন্ট সংগ্রহ করে ওই ডার্কসাইটগুলোতে দেয়। না দিলে তাদের পরিচয় ফাঁস করে দেওয়া হবে হুমকি দেওয়া হয় সাইটগুলো। যে ভয়ে তারা এ ধরণের অপরাধ গুলো করতো বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বীকরোক্তী দিয়েছে।
বিশেষ করে মানসিকভাবে বিকৃত শ্রেণীর অপরাধীরা এই ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বেছে নিয়ে তার অপব্যবহারের মাধ্যমে অন্যকে বিব্রত করে। এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, সামাজিক ভাবেও বর্জন করতে হবে। পাশাপাশি এ ধরণের অপরাধে যাতে অন্যরা না জড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোর না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। করোনা কালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় কিশোর কিশোরীরা ইন্টারনেটের প্রতি ঝুকে পড়েছে। তাদের নজরে রাখার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। আর এ কাজটি সবার আগে করতে হবে অভিভাবকদের।
সাইবার অপরাধ দমনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ রাজধানীতে একটি সাইবার থানা প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে। পরবর্তিতে বিভাগীয় পর্যায়ে এ ধরণের সাইবার থানা প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সাইবার থানায় যে সকল কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পাবেন তাদের সকলেই সাইবার অপরাধ নিয়ে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ফলে ভুক্তভোগীরা সরাসরি সাইবার থানায় অভিযোগ করে দ্রুত সমস্যার সমাধান পাবেন।
এছাড়াও প্রতিটি থানাতে সাইবার থানার হট লিংক স্থাপন করতে হবে যাতে ভুক্তভোগীরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান পায় এবং হয়রানি থেকে বাঁচতে পারে।