কাঁঠাল নিয়ে তো প্রবাদ আছেই “গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। আর কয়দিন পরেই সেই রসে ভরা কাঁঠাল খাবো আমরা। মেহেরপুরের অলিগলিতে আছে কাঁঠালের বাগান। আর এসব বাঁগানে এসেছে প্রচুর কাঁঠাল। জাতীয় ফল কাঁঠালকে বলা হয় গরীবের খাবার। জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় চলেনা। গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে মুড়ির সাথে কাঁঠাল ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহি একটি খাবার। এক সময় গ্রামে যেখানে কাঁঠালের আধিক্য থাকতো, সেখানে গ্রীস্মকালিন সময়ে কাঁঠাল ছিল সকালের খাবারে বাধ্যতামুলক। শুধু ফল হিসেবে নয়, কাঁচা কাঁঠাল তরকারী হিসেবেও খাওয়া হয়। এর স্বাদ অন্যরকম হয় বিধায় এর তরকারী অনেকের কাছে প্রিয়। সেই সাথে কাঁঠালের বিচি ও বিচির ভর্তাও খুব পছন্দের খাবার।
কাঁঠালে নানান পুষ্টিগুনে পুরোপুরি ভরপুর। কাঁঠালের কোয়াতে থাকে আইশ। ৪/৫ কোয়াতেই এক শ কিলো ক্যালারী খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়। কাঁঠালের হলুদ রঙের কোষ হচ্ছে ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ। ২/৩ কোয়া কাঁঠাল আমাদের এক দিনের ভিটামিন “এ” এর চাহিদা পুরুণ করে।