নিউজিল্যান্ডে তাদের মাটিতে এই প্রথম হারানোর টেস্টে দলে ছিলেন না দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ছিলেন না দলের দুই সিনিয়র তারকা তামিম ও রিয়াদ।
তাকেসহ সিনিয়রদের ছাড়াই দল এমন ঐতিহাসিক জয় পেল সে বিষয়ে সাকিবের অনুভূতি জানতে চান সাংবাদিকরা।সিনিয়রদের ছাড়া তরুণদের নিয়ে দল কঠিন ম্যাচও জিততে পারবে না – এমন ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলে জানালেন সাকিব।
শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব বলেন, ‘এটা তো অবশ্যই ভালো লাগার দিক। যারা সবসময় বিশেষ করে মিডিয়া মনে করে, আমরা চার-পাঁচজন (তামিম, সাকিব, রিয়াদ) ছাড়া খেলোয়াড় নেই। সেটা ভুল প্রমাণ হলো। অন্য ক্রিকেটারদের যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে খেলেননি বলেও আক্ষেপ হচ্ছে না বলে জানালেন সাকিব। বললেন, ‘জয়টাই বড়। আমাকে ছাড়াও (দল জেতে), আমি থাকা না থাকা বড় বিষয় না। যেটা হয়েছে দল কেমন খেলছে এবং কেমন ফল করছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি খুবই খুশি, খুবই গর্বিত প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের ওপর। দল ভালো করলেই আমি খুশি। আমার কখনও ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকে না। এবারও নেই।’
অবশ্য এই এক জয় দিয়েই বাংলাদেশ দলের বড় পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে না বলে মনে করেন সাকিব।
বললেন, ‘একটা টেস্ট ম্যাচ জিতে সবকিছু বদলে যায় না। তবে একটা টেস্ট ম্যাচ অনেক কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করে। সেই সম্ভাবনা তৈরি হলো। এই বিশ্বাসটা যদি আমরা রাখতে পারি, বিসিবি যদি সেই বিশ্বাসটা রাখতে পারে তাহলে হয়তো এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই আমরা অনেক ভালো ফল করে দেখাতে পারব। সত্যি বলতে, এত ভালো ক্রিকেট বাংলাদেশ কমই খেলে। প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা এত চাপের মধ্যেও কঠিন কন্ডিশনে এত ভালো খেলেছে।’