করোনার ক্ষতি পোষাতে এ বছর স্কুলে কমছে সরকারি ছুটির সংখ্যা। নেয়া হবে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষাও। কর্তৃপক্ষ বলছে, কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকছে সেই তথ্যও নেয়া হচ্ছে।
১৭ মাস বন্ধের পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খোলে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এপরপর আবার করোনার প্রাদুর্ভাবে ২২ জানুয়ারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ক্লাস। আর ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
গত দুই বছরে করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা বের করার কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত সে বিষয়েও তথ্য নেয়া হবে বলে জানা যায়।
এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সাথে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ক্লাস উপস্থিতির তথ্য নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ক্লাসে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষতি পোষাতে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ারও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি যে আগ্রহ ও উদ্যম আছে তাতে তারা শীঘ্রই এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৯৯ ভাগ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ এবং ৮৭ ভাগ শিক্ষার্থীকে ২য় ডোজ করোনা টিকা দেয়া হয়েছে। তাই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো ঝুঁকি নেই।