আলমডাঙ্গা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে বাশ দিয়ে মাথা ফাটিয়েছে তারই বড় ছেলে আব্বাস (৪৫)।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোরদ গ্রামে এঘটনা ঘটে।
আহত বৃদ্ধা জাহানারা বেগম ওই গ্রামের ঈদগাপাড়ার মৃত রবগুলের স্ত্রী। জাহানারা খাতুনের প্রথম ও দ্বিতীয়পক্ষের মোট ৯ টি সন্তান। একমাত্র মেয়ে ছাড়া কোন সন্তানই ভরপোষন দেন না বলেও অভিযোগ।
জাহানারা বেগমের দেবর আব্দুল মালেক বলেন, জাহানারা বেগমের সাথে পারিবারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া করে বড় ছেলে আব্বাদের স্ত্রী রেখার খাতুন। শুক্রবার সকালে জমিজমা সংক্রান্ত ও সাংসারিক বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হয় রেখার সাথে। নিজের স্ত্রীর সাথে কথা-কাটাকাটি দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে আব্বাস। পরে বাশ দিয়ে বৃদ্ধা মায়ের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা বৃদ্ধা জাহানারা বেগমকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জাহানারা বেগমের প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের ৯ সন্তান। তার মধ্যে একমাত্র একটা মেয়ে তার কিছুটা দেখাশোনা করে। শুক্রবার সকালে সাংসারিক বিষয়ে আব্বাসের স্ত্রীর সাথে কথা-কাটাকাটি হয় বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের। এতে আব্বাস তার বৃদ্ধা মাকে বাশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতেই তার মাথা ফেটে যায়। এটা আসলেই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ওই আব্বাস দূষ্টু প্রকৃতির। এঘটনার পর আব্বাস পলাতক আছে। তিনি আরও বলেন, ওই বৃদ্ধাকে বিধবা ভাতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। আব্বাসকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আর সালান বলেন, ওই বৃদ্ধার মাথায় গভীরভাবে ক্ষত হয়েছে। সেখানে ৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন উজ্জামান বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনো কিছু শুনিনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।