বিগত বছলের তুলনায় কুষ্টিয়ায় এবছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কুষ্টিয়ার লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারনে বাজারজাতকরণ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন লিচুর বাগান মালিক ও ব্যাপারীরা।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় এ বছর ২৮৩ হেক্টর জমিতে বোম্বাইসহ আধুনিক জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। সুস্বাদু ফল হিসেবে কুষ্টিয়ার লিচুর চাহিদা বেশী।
চলতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ শিলাবৃষ্টি ও আম্পানের প্রভাবে লিচুর ক্ষতি হলেও সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হতো, যদি করোনা পরিস্থিতির কারণে পরিবহন সংকটসহ বাজারজাতকরণে কোনো সমস্যা দেখা না দিত। তারপরও লাভের আশা করছেন লিচু বাগান মালিকরা।
লিচুর বাগান ক্রেতা ব্যাপারীরা এখন লিচু ভাঙ্গাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগে লিচুর ক্ষতি হলেও সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লিচুর সমাহার ঘটাচ্ছেন তারা।
আবার বাগানের টাটকা সুস্বাদু লিচু কিনতে সাধারণ ক্রেতারও লিচুর বাগানে ভিড় করছেন। লিচু কেনার সময় গাছ থেকে পেড়ে দু’একটি লিচু খাওয়ার তৃপ্তিও পাচ্ছেন তারা।
ভেড়ামারা উপজেলার পাটুয়াকান্দি এলাকার লিচু চাষীয় আনোয়ার পারভেজ শান্ত বলেন, আমার ৫ বিঘা জমিরে উপর গড়ে তোলা লিচু বাগান থেকে ৫-৬ বছর লিচুর আবাদ করে আসছি। গেলো বছর আমি ৫ লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু এবছরে লকডাউন ও আম্পানে তিন লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেছি।
দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, কুষ্টিয়ায় বোম্বাইসহ আধুনিক জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হলেও বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের সিদ্ধান্তে লিচু বাজারজাতকরণে পরিবহন সংকটও নিরসন হয়েছে।
স্বপ্ল সময়ের পচনশীল ফল লিচু সময়মত বিপনন করতে না পারলে একদিকে লিচু চাষীরা লিচুচাষে আগ্রহ হারাবে সেইসাথে পুঁজি হারাবে ব্যাপারীরা। এমনটাই মনে করেন এ অঞ্চলের লিচু চাষীরা।
এস এম জামাল, কুষ্টিয়া থেকে।