স্বপ্ন হলো সত্যি। সবশেষ স্প্যান (৪১তম) বসিয়ে জুড়ে দেওয়া হলো পদ্মার দুই পাড়। এর মধ্যদিয়ে শেষ হলো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সেতুর গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হলো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯টি জেলা।
এখন সড়ক ও রেলের স্প্যান বসানো সম্পন্ন হলে চলাচল শুরু হবে গাড়ি ও রেল। ধারণা করা হচ্ছে আগামী বছরের ডিসেম্বরে স্বপ্নের এ সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বহুমুখী এ সেতু হবে দোতলা। পদ্মাসেতুর মূল কাঠামো স্টিলের, যা স্প্যান নামে পরিচিত। এই স্প্যানের ওপর কংক্রিটের প্রলেপ দিয়ে রাস্তার কাঠামো তৈরি করা হবে; যার ওপর দিয়ে যানবহন চলাচল করবে।
ইতোমধ্যে, রেলওয়ের ১ হাজার ৫শ টির বেশী স্ল্যাব বসানো হয়েছে। প্রায় শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে ৫৫ কিলোমিটার হাইওয়ে এক্সপ্রেসেরও।
বৃহস্পতিবার মূল সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে ৪১তম এই স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু।
এছাড়াও সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে ১ হাজার ৪১টির বেশি রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে। আর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫০০টির বেশি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় সবগুলো স্প্যান।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।