জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা বা এনআইডি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র আর ভোটার আইডি কার্ড এক বিষয় নয়। পৃথিবীর সব দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার কাজ করে থাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা অন্য কোনো মন্ত্রণালয়। এটি নির্বাচন কমিশন করে না। নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করে। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আশঙ্কা অমূলক। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন এটি একটি প্রকল্প হিসেবে শুধু ভোটার তালিকা প্রণয়নের বিষয় ছিল, তখন এটি নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। এখন এটি আর ভোটার তালিকা নয়, এটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড করা হচ্ছে। তখন এটি সরকারের হাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকায় যুক্তিযুক্ত। সব দেশেই তা আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই কাজ করবে। বিদেশে যারা অবস্থান করছে, তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই পাসপোর্ট দেয়। তাদেরও ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেওয়া হয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো সিদ্ধান্ত। ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেওয়ার পর ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক যারা, যিনি ভোটার হওয়ার উপযোগী, তাদের তালিকা তো অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখন নির্বাচন কমিশন থেকে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে, সেটি আসলে অমূলক। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে।
এর আগে রোববার জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবা নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমরা মনে করি এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছেই থাকা উচিত। কারণ, ইসি এটি তৈরি করেছে ভোটার তালিকা তৈরির ভিত্তিতে। সরকারের যে উৎকণ্ঠা বা পরামর্শ, সেটা হলো কোনো দেশে নির্বাচন কমিশন এনআইডি কার্ড করে না। এটা ঠিকই, কোনো দেশে এটা নির্বাচন কমিশন করে না। অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলনা করলে হবে না। ইসির কাছে এটি থাকলে কোনো অসুবিধা নেই। ইসি সেবা দিতে পারছে।