বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, স্বাধীন বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৪ টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে থাকতে হয়েছিল। কারণ স্বাধীন বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়েছেন, যার কারণে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। যার জন্য আমরা সংবিধান পেয়েছি। অথচ মৌলবাদীরা রাতের অন্ধকারে কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হেনেছে। আমরা মর্মাহত হয়েছি, গোটা জাতি মর্মাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, তরুণ এই শক্তি তারুণ্যের জয়। দেশ স্বাধীনের পর পাকিস্তানকে পরাস্ত করেছিলো এই তরুণরা। বিএনপি তথা বেগম খালেদা জিয়ারও পতন ঘটানোর মুলে ছিলো এই তারুণ্য শক্তি। তাই তরুণ সমাজের দায়িত্ব অনেক। এই তারুণ্যের শক্তি দিয়ে এ দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ইসলাম শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আমরা নবী করিম (সা:) এর ধর্ম পালন করি। মানুষ হত্যা, গণহত্যা কিংবা নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন ইসলাম সমর্থন করে না। অথচ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলামী রাজাকার বাহিনী তৈরি করে ধর্মের দোহায় দিয়ে চালায় খুন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা।
হানিফ এমপি বলেন, স্বাধীনতার মূলনীতি ছিলো চারটি। এরমধ্যে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা। এই স্বাধীনতার পর রচিত হয়েছিলো সংবিধান। বাংলাদেশের অস্তিত্ব যতদিন থাকবে ততদিনে এই সংবিধান অনুযায়ী চলবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, একাত্তরের অপশক্তি আজও বিভ্রান্ত করছে। নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই যুবসমাজকে একত্রিত হওয়ার আহবান জানান।
জেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া -১ আসনের সংসদ সদস্য আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশা এমপি, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রবিউল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।