এম এফ রুপক/ শাকিল রেজাঃ
ভারত থেকে যে পথ দিয়ে জাতীয় চার নেতা মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে শপথ নিয়েছিলেন সেটি ‘স্বাধীনতা সড়কে রূপান্তরিত হচ্ছে। স্বাধীনতা সড়ক বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা সহজ হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক হিসেবে সড়কটি আবারও মানুষের পদচারণায় মুখরিত হবে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, এই সড়কের ফলে একদিকে যেমন দু-দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে অন্যদিকে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আরও সমৃদ্ধ হবে।
মেয়র তাপস ও সাইদ খোকনের মধ্যে সম্প্রতি যে বাকবিতন্দা চলছে এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতেই পারে। এই মত পার্থক্য প্রকাশ্যে আলোচনা হয়েছে, কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটি সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি। আওয়ামীলীগের জন্য এটি অকল্যানকর কিছু না।
এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সফর সঙ্গি হিসেবে ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন।
চেকপোষ্টের বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার ১৫ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে পরিদর্শনে আসবে। খুব দ্রুত চেকপোষ্টের কাজও শুরু হবে। কবে নাগাদ মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রের নতুন নকশার কাজ শুরু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব চেয়ে বড় স্থাপনা হবে আমদের এই মুজিবনগরে। এই স্থাপনাটি তৈরি করছি আমরা সময় দিয়ে অত্যন্ত গুরেুত্বসহকারে।
মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মহদয়কে নিয়ে সর্বশেষ একটি মিটিং করেছি। আশা করছি আগামী অর্থ বছর থেকে মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রের নতুন নকশার কাজ শুরু করতে পারবো।
এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি হেলিকপ্টারযোগে মুজিবনগরে পৌছান। এর পর পর্যটন মোটেলে গার্ড অব অনার শেষে তিনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক প্রমুখ।