দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পার হলেও মন্ত্রনালয়ের গেজেটে নাম আসে নি সাহসী যোদ্ধা বদর উদ্দিন শেখের। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে।
জীবনের শেষ সময়ে এসে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে তালিকায় নিজের নাম দেখতে চান দেশ মাতৃকার টানে ঝাঁপিয়ে পড়া এই মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের গণিরুদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ বদর উদ্দিন শেখ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮নং সেক্টরের গেরিলা কমান্ডার মীর শহীদুল হকের সাথে ভারতের চাকুলিয়া থেকে উচ্চ প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন তৎকালীন ১৯ বছর বয়সী এই যুবক।
তার সহযোদ্ধা ছিলেন আকবর আলী (মুক্তিবার্তা নং- ০৩০৩০১০৪৫৫), সেরাজুল ইসলাম (মুক্তিবার্তা নং-০৪১১০১০০৭৩), নুর মোহাম্মদ আলী (জাপান) (মুক্তিবার্তা নং-০৪১১০১০২২০)। তবে মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র রয়েছে তার কাছে।
জীবন যুদ্ধে পরাজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা বদর উদ্দিন শেখের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি জানান সহযোদ্ধারা। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন (ম্যালেশিয়া নং-১১৯৭২) ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করার পরেও অজানা কারণে সুফল পান নি তিনি।
জীবন সায়াহ্নে এসে এখনও তিনি কেবলমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান তিনি। এজন্য তিনি বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুফল পাননি। সর্বশেষ গতকাল তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করেন।
তবে সেখান থেকে কেবল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় এ আপিল করার জন্য একটি ফরম পান। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে স্ত্রী-সন্তানের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন বদর উদ্দিন শেখ।