স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানের ভয়ে গাংনী উপজেলার প্রায় প্রতিটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একদিনের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে এমবিবিএস ডাক্তার ভাড়া করে রেখেছিলেন মালিকরা।
অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ৭২ ঘন্টার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারী করে। মন্ত্রণালয়ের ৭২ ঘন্টার নির্দেশের শেষ দিনে ৩১ মে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৫টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেই স্বাস্থ্য বিভাগ। সরকারের মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হলেও গাংনী উপজেলাতে এ নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার জাহিদ রেজা ঢাকাতে প্রশিক্ষণে থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান চালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি ।
তবে, আগের দিন সদর ও মুজিবনগরে অভিযান চালিয়ে ৮ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক স্টোর সীলগালার খবর শোনার পর গাংনী উপজেলার অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিত সেন্টারে একদিনের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে ডাক্তার বসিয়ে রেখেছিলেন মালিকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ক্লিনিক মালিক জানান, গাংনী উপজেলার অধিকাংশ ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন নেই। তারা অভিযানে বেশ আতংকিত। সবার মাঝেই তার প্রতিষ্ঠান বন্ধের আতংক বিরাজ করছে। সদর এবং মুজিবনগরে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই আজকে গাংনীতে অভিযান চলবে এমনটিই ভেবেছিলেন ক্লিনিক মালিকরা। তাই মালিকরা অভিযানের ভয়ে ডাক্তারকে একদিনে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখেছিলেন।
উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলাতে ১১ টি ক্লিনিক ও ১৮ টি ডায়াগনস্টিক রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশই নবায়ন করেননি।