করোনাভাইরাস মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী মানুষের চাহিদা এবং আচরণের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সহজে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন সবাই।
কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকস পণ্য, সব ধরনের প্রয়োজনেই মানুষ এখন আর বাজারমুখী হচ্ছেন না, বরং স্বশরীরে না গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর জন্য অনলাইন শপিংয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার জন্য হোম ডেলিভারিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন সবাই। ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে অনলাইন শপিং -এর থেকে ভালো বিকল্প এ মুহূর্তে দ্বিতীয়টি নেই।
গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়েই বেড়েছে অনলাইনে কেনাকাটা। বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অনলাইনে ২০১৮ সালে যে পরিমাণ অর্থের (২৬ বিলিয়ন ডলার) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয় তা ছিল ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
২০১৮ সালে সামগ্রিক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সার্বিক বাজার ছিল ৬৩২ বিলিয়ন ডলারের। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে এ বছরের শুরুতে অন্যান্য যে কোনো বছরের তুলনায় অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে এবং গবেষকদের ধারণা, গ্রাহকরা করোনার ঝুঁকি কমাতে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দেয়ার কারণে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাড়বে অনলাইন কেনাকাটা।
এ অবস্থায় ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনা করে নানা প্রতিষ্ঠান পণ্য ডেলিভারিতে প্রয়োজনীয় মাস্ক, গ্লাভসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং দ্রুততার সঙ্গে বাড়িতে পণসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে। সব দিক বিবেচনায় অনলাইন শপিংকে খুব সহজেই বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম না।
দৈনন্দিন সবকিছুর পাশাপাশি সবারই নানা ইলেকট্রনিক পণ্যেরও প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে, অনেকের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছে স্যামসাং বাংলাদেশ। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের অফিশিয়াল স্মার্টফোন ও ট্যাব অনলাইন ডেলিভারিতে চালু করেছে ই-প্ল্যাটফর্ম Galaxyshopbd.com ।
এই অনলাইন শপ থেকে দেশের বাজারে রয়েছে এ ধরনের সব স্যামসাং পণ্য ক্রয় করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে এ০১, এ২ কোর, এ১০এস, এ২০এস, এ৫০এস, এ৫১, এম৩০এস, এম৪০, নোট ১০+, নোট ১০ লাইট, এস১০+, এস২০ আল্ট্রা এবং ট্যাব এ ১০.১ সহ আরও অনেক ডিভাইস।
এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিভাইস অর্ডার করলে বিনামূল্যে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে (শর্ত প্রযোজ্য) অর্ডার পৌঁছে দেয়া হবে। সব হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সংক্রান্ত সতর্কতা নেয়া হবে।
পণ্যপ্রাপ্তির পর বিকাশের মাধ্যমে অথবা পণ্য গ্রহণের পর নগদ অর্থ প্রদান কিংবা পণ্য বাসায় পৌঁছে দেয়ার সময় কার্ডের মাধ্যমে ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা যাবে।
এর পাশাপাশি, ক্রেতাদের স্বস্তি ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে, স্যামসাং নিয়ে এসেছে উদ্ভাবনী সুবিধা। এ সুবিধার আওতায়, ক্রেতারা তাদের পরিচিত ও পছন্দের রিটেইল শপ থেকে তাদের পছন্দের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট অর্ডার করতে পারবেন।
যেমন, কেউ যদি ধানমণ্ডি থাকেন তিনি Galaxyshopbd.com-এর মাধ্যমে তার এলাকার পছন্দের রিটেইল দোকান থেকে পছন্দের স্মার্ট ডিভাইসটি হোম ডেলিভারির জন্য অর্ডার করতে এবং বুঝে নিতে পারবেন। সূত্র-যুগান্তর