নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছয়তলা একটি ভবনে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মাসদাইর শেরেবাংলা লিংক রোডের ছায়াবীথি আবাসিক এলাকার সৌদি প্রবাসী আকবরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বাড়িটি আকবরের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের নামে।
দগ্ধরা হলেন- গার্মেন্ট শ্রমিক মিশাল (২৬), তার স্ত্রী মিতা (২৩), তাদের দেড় বছর বয়সের শিশুসন্তান মিনহাজ এবং মিশালের দুই শ্যালক হোসিয়ারি শ্রমিক মাহফুজ ও সজীব। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, হঠাৎ ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে ছয় তলার দুটি ও পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে টুকরো হয়ে উড়ে যায়। জানালার গ্রিল ভেঙে বাঁকা হয়ে গেছে, থাইগ্লাসগুলো চূর্ণ হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
বাড়িওয়ালার ছোটভাই কাওছার জানান, চলতি মাসে পরিবারটি ষষ্ঠ তলায় তিন রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ওঠেন। গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে ওই ফ্লাটের বিভিন্ন রুমে তা জমাট বেঁধে থাকে। রাতে খাওয়ার পর পরিবারের কেউ সিগারেট অথবা মশার কয়েল জ্বালানোর উদ্দেশ্যে আগুন জ্বালালে মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে ঘরে আগুন ধরে যায়। এসময় অন্যান্য রুমেও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন। তাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা এসে আগুন নেভানোসহ দগ্ধদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান।
নারায়ণগঞ্জ শহরের মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলেন স্থানীয়রা।
আগুনে ওই ফ্ল্যাটের অধিকাংশ আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং দগ্ধদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।