ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এক নারী ইউএনও’র বাবা ও ভায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী।
গত সোমবার রাতে মহেশপুর উপজেলার মৃত আয়ুব হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৭) বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্ল্যেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, উপজেলার সিঙ্গীয়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী মন্ডলের ছেলে ও ইউএনও’র বাবা তোয়াজ উদ্দিন (৬০), ভাই সাজ্জাদ (৫০), তোয়াজের ছেলে মোঃ পারভেজ এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ রয়েল হোসেন ও মোঃ খলিল (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিঙ্গীয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি পুকুরের মাটি খনন ও পাড় বাধানোর জন্য বাদী জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আসামীদের ২০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী বাদী জাহাঙ্গীর হোসেন ১২ হাজার টাকা বিবাদী তোয়াজকে প্রদান করে। পরবর্তিতে পুকুর বাধানো হলেও বৃষ্টির জন্য মাটি খনন করতে পারেনি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর।
গত রবিবার বেলা ১০ টার দিকে ওই ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন আসামীরা জোরপূর্বক ভেকু মেশিন দ্বারা মাটি খনন করছে। এসময় তিনি বাধা দিলে তারা জাহাঙ্গীরের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে আসামীরা রড ও লোহার হাতুড়ী সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে গুরতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকরা জানায়, আঘাতের ঘটনায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের একটি পা ও একটি হাত ভেঙ্গে গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী গত সোমবার কোটচাঁদপুর থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই হাসানুর রহমান জানান, আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অভিযোগ আছে, তোয়াজ উদ্দিনের মেয়ে প্রশাসনিক ও মেয়ে জামাই পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি আইনকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় জমি দখল সহ পুলিশ, সংবাদকর্মী এবং সাধারণের উপর হামলা করেন।