ঋণ-ধার করা অর্থ দিয়ে ৪০শতক জমিতে ভূট্টা আবাদ করেছিলেন কৃষক আজিজুল হক মুন্সী চান। আর কদিন পরেই ঘরে তুলবে ভূট্টা ঋণের টাকা পরিশোধ করবে বলে আশায় বুক বেধেছিল, সাথে সাথে আসবে সংসারের স্বচ্ছলতা। কিন্তু দূর্বৃত্তরা সেই ফসল রাতের আধারে কেটে নষ্ট করায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের দোবিলা গ্রামে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দোবিলা গ্রামের নিরীহ কৃষক আজিজুল হক মুন্সী (চাঁন) এর ৬০ শতক জমির মধ্যে ৪০ শতক জমির ভুট্টা গাছ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আজিজুল হক বলেন, আমি বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন করে এই ভূট্টা চাষ করেছিলাম। মানুষের কি এমন ক্ষতি করেছি যে মাঝে মধ্যেই আমার উৎপাদিত ফসল বিনষ্ট করে। ইতি পূর্বে আমার বাড়ি নির্মাণের সময়ে তাঁরা আমাকে মারধর করেছে, এবার আবার রাতের আঁধারে তারা আমার চলতি মৌসুমে ৪০ শতক জমির ভূট্টা গাছ কেটে দিয়েছে। এতে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন ঋণের দায়ে পথে বসে গেছি। কৃষক চাঁন তার কষ্টার্জিত ভুট্টার ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেংগে পড়েন।
এলাকার বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, গ্রামের ফসল এভাবে যারা ক্ষতি করে তারা মানুষের আওতায় পড়ে না। গ্রামে একে অপরের মধ্যে শত্রুতা থাকতে পারে তারমানে এই নয় যে, কারো ফসল ক্ষতি করবো। আসলে এটা একটা দন্ডনীয় অপরাধ এদরকে চিহ্নিত কর আইনের আওতায় আনার দাবী জানায়।
ভায়না ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুলল ইসলাম জানান, একজন চাষির ফসল এভাবে কেটে দেওয়ায় আমি হতবাক। তাছাড়া আমি এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের ফসলী জমি পরিদর্শন করে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি অফিসার শাহীন ইসলাম।
এদিকে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আজ (২৯ জানুয়ারি) সোমবার এব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, অপরাধী যেই হোক খুব শিগ্রই সে আইনের আওতায় আসবে বলে জানান।