ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কালাপাড়িয়া গ্রামের বরকত আলী’র ছেলে আমিরুল ইসলামের বিবাধ পূর্ণ পুকুরে গত বুধবার রাতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারার অভিযোগ উঠেছে। এই কৃষক কে নিয়ে অতীতেও এমন ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনায় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও কোনও সুফল মেলেনি, বলে তিনি জানান।
কায়িক পরিশ্রম করে সরল জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেন মন্টু কিন্তু কিছু মানুষরুপী হিংস্্র প্রাণীর থাবায় তার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। তার কাছ থেকে জানা যায় জমি দখল, গাছের আম পেড়ে নেওয়া, জমির ঘাস কেটে নেওয়া, বিষ দিয়ে পুকুরে মাছ মারা সহ নানা ধরনের অত্যাচারের স্বীকার হতে হচ্ছে তাকে। এছাড়া অবৈধ আশ্রায়ন প্রক্লপে আশ্রয় নেওয়া হুমায়ন কবির, বাবর আলী, শরাফতসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমি এখন চরম আশংকার মধ্যে আছি ওরা আমার পুকুরের মাছ মেরে দিয়েছে এতে করে আমার ৫০হাজার টাকার বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে এর বিচার চাই। আবাসনের সভাপতি মনিরুদ্দিন বলেন, জমি যদি সরকারের হয় তাহলে সেটা আবাসনে দিয়ে দিক। আর যদি আইনি ভাবে মামলায় সে পেয়ে থাকে তাহলে সেটা তাকে দিয়ে দিক। তার দিয়ে এখানে ঝামেলা মুক্ত থাকুক। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধোন চাই।
এদিকে চরপাড়া পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ সাংবাদিকদের জানান, বেশ কিছু মাছ মারা গেছে। ঘটনা শুনার পর-পরই আমি সেখানে আমার ফোর্স পাঠিয়েছিলাম ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেব। এঘটনায় রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৩ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসেম আলী জানান, আমি দু’জনকেই অনুরোধ করি কিন্তু কেউই আমার কথা শোনেন না।
তিনি আরো বলেন, মাছ কিন্তু মরেছে, এখানে বিষ দেয়ার কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। আমি চাই যে এই জমিটা নিয়ে গ্রামে যে গ্যাঞ্জাম চলছে তার সুষ্ঠু সমাধান হোক।