প্রেম মানেনা বাঁধা! এ কথাটির আবারো বাস্তবিক প্রমান ঘটলো আপন চাচা ভাতিজির প্রেমে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা ২ নং জোড়াদহ ইউনিয়নের বেলতলা গ্রামে মোঃ মন্টু মন্ডল ছেলে মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও একই গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের মেয়ে মোছাঃ অনামিকা (১৫)| দীর্ঘদিন ধরে ঘরুয়া পরিবেশে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে জটলা বাঁধে প্রেমের সম্পর্ক|
সব সম্পর্ক ত্যাগ করে রবিবার আনুমানিক দুপুর ৩ টার দিকে অজানার উদ্দেশ্য পারি দেয় চাচা ভাতিজা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ভাতিজাকে প্রাইভেট পড়াতো চাচা এমন নেক্কার জনক ঘটনা ঘটাবে কে জানে। নিজের মেয়ের মতো ভেবে পড়াতো ভাতিজীকে কিন্তু এমন কুবুদ্ধি মনে আসবে পরিবারের লোকজন কেউ জানতো না।
অনিকের বাবা মন্টু মিয়া জানান ঐ ছেলেতে মানসম্মান সব নষ্ট করে দিয়েছে গ্রামে আমার মূখ দেখানোর কোনো পরিবেশ নেই,তবে এলাকায় বসে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। অন্যদিকে অনামিকার বাবা আলমগীর হোসেন বলেন আমি দীর্ঘদিন ঢাকাতে থাকি অনিক কে বিশ্বাস করে আমার মেয়েকে তার কাছে পড়তে দিয়েছিলাম,হঠাৎ করে মেয়ের কি বুদ্ধি হলো আপন চাচার সাথে কি ভেবে উধাও হয়ে যায় আমার বুঝে আসেনা,মেয়ে যখন যা চেয়েছে তাই দিয়েছি কোনো আব্দার না করিনি,সেই মেয়ে আমার মুখে এমন চুনকালি দেবে কখনোই ভাবিনি।
জোড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হুদা পলাশ মুঠোফোনে জানান বিষয়টা শুনেছি মেয়ে ছেলের পরিবার তাদেরকে খুঁজাখুঁজি করছে।
জোড়াদহ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান মেয়ের পক্ষ থেকে থানায় একটা অভিযোগ হয়েছে বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।