ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউপি কার্যলয়ের সামনে পৌর এলাকার আমের চারা বাজারে, জোড়াদহ ইউনিয়নের জটারখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফলসি ইউনিয়নের ফলসিতে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।
গতকাল বিকালে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রথম সভায় বক্তব্য রাখেন ঈগল প্রতিকের প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।
অনুষ্ঠানে হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিয়ার রহমান জোয়ারদার, সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক, সাইদুর রহমান, সাবদার রহমান ও শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল উপস্থিত ছিলেন। নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, জেলার কোন দ্বায়িত্বশীল প্রতিনিধি না হয়েও আমি জেলার মানুষকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসি। এই জেলা আমার নয়নের মনি। এরপর আমের চারা বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। এসভা টানু মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী সভাপতি মশিয়ার রহমান জোয়ারদার, সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক, শাহরিয়ার জাহেদী পিপুলসহ অন্যান্যরা। সন্ধ্যারপর জোড়াদহ ইউনিয়নের জটারখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জোড়াদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা পলাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন মশিয়ার রহমান জোয়ারদার, এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, শাহরিয়ার জাহেদী পিপুলসহ অন্যান্যরা। নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন আমি তরুনদের নিয়ে কাজ করতে চায়। তরুনরা আমার প্রান। তরুনদের কর্মসংস্থান করাই আমার মূল লক্ষ্য হবে। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবেন। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। এরপর রাতে ফলসি ইউনিয়নের ফলসীগ্রামে গণসংযোগ করেন।
এই পথসভার বক্তৃতায় নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, “উন্নয়ন দিয়ে ঝিনাইদহকে সাজাতে তিনি বদ্ধপরিকর। অন্তত ৩০ বছর ধরে আমি ও আমার পরিবার ঝিনাইদ-হরিণাকুন্ডুর মানুষকে খেদমত করে যাচ্ছি। স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করা হবে। প্রতিটি পথসভায় শত শত কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারের ঢল নামে। মহুল সাহেবকে একনজর দেখার জন্য এবং তাকে অভিনন্দন জানাতে রাস্তায় উৎসুক ভীড় জমে। এসময় নেতা কর্মীরা উৎসাহমূলক বিভিন্ন প্রখার শ্লোগান দিতে থাকেন।