ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের নবীছদ্দীনের ছেলে জসিম উদ্দীন (৩৫)নামের এক ব্যাক্তির হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করছেন হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকায় হরিণাকুণ্ডু থানাতে হত্যার ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন,থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। জসিম উদ্দীন দ্বীর্ঘ্য দিন ধরে বিভিন্ন নারীর সাথে মেলামেশা করার কারণে নিহতের স্ত্রীর মনের মধ্যে প্রতিশোধের নেশা জন্ম হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী রিতা খাতুন একই গ্রামের জালাল মণ্ডলের ছেলে মালেকের সাথে যোগাযোগ করে স্বামী জসিম উদ্দীনকে হত্যার শড়যন্ত্র করে।
সুযোগ বুঝে গত ১৬ নভেম্বর মালেক ও রিতা খাতুন তাকে দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ খাওয়ালে স্বামী জসিম অবচেতন হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে টেনে হিচড়ে বাড়ির পার্শের মেহগনি বাগানে নিয়ে গিয়ে গলায় দড়ি প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার ঘটনা ঘটায় বলে জানান এই শীর্ষ কর্মকর্তা। আলামত হিসেবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা দড়ি ও টিশার্ট পাওয়া গেছে। হত্যার ১৩ ঘন্টার মধ্যেই আসামী গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের ৩০২/৩৪ প্যানাল কোডে, ৬ নং মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ সময়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,থানা সেকেণ্ড অফিসার এস আই দিপ্তেশ রায়, এস আই অনিশ,ও এস আই রেজওয়ান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হরিণাকুণ্ডুতে কর্মরত সকল ইলেক্ট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ আরও অনেকেই।