অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দলে স্বস্তি ফেরালেন লুক ডি ইয়ং। একটি পয়েন্ট পেল শাভি এরনান্দেসের দল।
রোববার রাতে আরসিডিই স্টেডিয়ামে লা লিগার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। পেদ্রির গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন সের্হিও দার্দের। দ্বিতীয়ার্ধে রাউল দে তমাসের গোলে এস্পানিওল এগিয়ে যাওয়ার পর অন্তিম মুহূর্তে ডি ইয়ংয়ের ওই গোল।
স্পেনের শীর্ষ লিগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে অপরাজেয় যাত্রাও ধরে রাখল বার্সেলোনা। এ নিয়ে টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত রইল তারা; এর মধ্যে ১৮টি জিতেছে বার্সেলোনা এবং ড্র করেছে ৬টি।
গত সপ্তাহে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয়ে যে পরিকল্পিত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিল বার্সেলোনা, সেই ধারাবাহিকতায় এদিন ম্যাচ শুরু হতেই এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় মিনিটে বাঁ পাশ দিয়ে ছয় গজ দূর থেকে বক্সে ক্রস বাড়ান জর্দি আলবা। বিনা বাধায় ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন পেদ্রি।
দুর্দান্ত ওই শুরুর পর বল দখলে আধিপত্য থাকলেও সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না বার্সেলোনা। ৩৭তম মিনিটে লক্ষ্যে দ্বিতীয় শট নিতে পারে বার্সেলোনা। আদামা ত্রাওরের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজ। এর তিন মিনিট পরই দারুণ গোলে সমতা টানেন দার্দের।
মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে রাউল দে তমাস ডি-বক্সে শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে কাটব্যাক করেন। আর বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দার্দের। ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পাননি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
৫৬তম মিনিটে আবার এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা। ডি-বক্সে দুজনের বাধা এড়িয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন জাভি। তবে পেদ্রির থেকে বল ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের গায়ে লেগে জাভির কাছে গিয়েছিল। ডি ইয়ং ছিলেন অফসাইডে, তাই ভিএআরে বাতিল হয় গোলটি।
বার্সেলোনাকে হতভম্ব করে দিয়ে ৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় এস্পানিওল। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বুক দিয়ে নামিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান স্প্যানিশ স্ট্রাইকার দে তমাস।
এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এস্পানিওল। গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। লড়াই জমে ওঠে তুমুল। তবে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউ।
শেষ ১০ মিনিটে লড়াইয়ে যেন নতুন মাত্রা যোগ হয়। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মেজাজ হারিয়ে দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখেন বার্সেলোনার পিকে ও এস্পানিওলের নিকোলাস মেলামেদ। চার মিনিট পর সরাসরি লালকার্ড দেখেন এস্পানিওলের মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল মোরনালেস।
এস্পানিওল ৯ জনে নেমে আসার আগমুহূর্তে সমতায় ফেরার উল্লাসে ভাসে বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে ত্রাওরের দারুণ ক্রসে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন ডাচ ফরোয়ার্ড ডি ইয়ং। ঝাঁপিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক।
লিগে টানা দুই জয়ের পর পয়েন্ট হারাল বার্সেলোনা। ২৩ ম্যাচে ১০ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে তারা। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট পিছিয়ে দলটি।
২৪ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া। তিন নম্বরে রিয়াল বেটিসের পয়েন্ট ৪৩।
তাদের সমান ২৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে এস্পানিওল।