আজ ৫০ বছরে পা দিলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক রোশন। বয়সে হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে সঙ্গে যেন তার স্টারডমও বেড়েছে তার। জন্মদিনে মা পিঙ্কি রোশন এই বলি তারকার ছবি শেয়ার করে ভক্তদের সামনে তুলে ধরলেন এক অচেনা হৃতিককে। যাকে হয়তো চেনেন না অনেকেই।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ হৃত্বিকের দুটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন মা পিঙ্কি রোশন। একটি ছবি এক্কেবারে ছোট্ট হৃতিকের, অন্যটি হৃতিকের বর্তমানের।
ছবি শেয়ার করে পিঙ্কি লিখেছেন, ‘তুমি যখন পৃথিবীতে এলে, তুমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষকে খুশি রাখার , হাসানোর আর তোমার চারিদিক খুশিতে ভরিয়ে রাখার।
সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তুমি বাঁচার সিদ্ধান্ত নিয়েছো নিজের শর্তে। তুমি যেভাবে নারীদের সম্মান জানিয়েছো, সেটা কেবল উদাহরণ হয়েই থেকে যায়নি, বরং তোমার বয়সী সমস্ত পুরুষকে কার্যত লজ্জায় ফেলে দিয়েছে।
তোমার গোটা জীবনটাই কাটছে মানুষের জন্য, মানুষের কাজে। তুমি নির্বাণ লাভ করো। টপকে যাও জীবনের সমস্ত বাধা। তোমার খুশিই আমার কাছে গোটা পৃথিবীর খুশির সমান। যে তোমার বয়স ৫ মাস হোক বা ৫০.. তুমি সবসময়ই আমার ছেলে। শুভ জন্মদিন আমার ভালবাসা। আকাশকে বুঝিয়ে দাও, ৫০ হয়েছে বলেও তুমি স্বপ্ন দেখতে ভয় পাওয়া না কখনও।’
ছোটবেলা উচ্চারণগত সমস্যা ছিল হৃতিকের। চারপাশে বন্ধুরা যখন অনর্গল কথা বলত, হৃতিককে তখন বাক্যগঠন করতেই সমস্যায় পড়তে হতো। শিশু হিসাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছেন না, এর চেয়ে কষ্টের শৈশব হয়তো হয় না। হৃতিকের নিজের কথায়, ‘স্কুলে যখন মৌখিক পরীক্ষা হতো, আমি কামাই করতাম। অসুস্থ হয়ে পড়তাম। হাত ভেঙে বসতাম। বা পেশির চোট লাগত।’
রীতিমতো স্পিচ থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল কিশোর হৃতিককে। লড়াইটা ছিল মানসিকও। এক সাক্ষাৎকারে হৃতিক জানিয়েছিলেন, রাঁধুনিকে নিজের আব্দারের পদ রাঁধতে বলার জন্য ৩৬ ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করতে হয়েছিল তাকে।
ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে ২৫ জানুয়ারি হৃতিকের নতুন সিনেমা ফাইটার মুক্তির অপেক্ষায় আছে।