মৌলবাদী ও সম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রবিরোধী অপ-তৎপরতা ও হরতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মেহেরপুর জেলা যুবলীগ।
শনিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা হেফাজতের বেআইনি হরতাল ও নাশকতার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এসময় মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছে, তখন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এদের প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এখনই রুখে না দাঁড়ালে মৌলবাদীদের সাহস বেড়ে যাবে। সাহস বেড়ে গেলে এরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের দিকে, ঠিক তখনই স্বাধীনতার পরাজিতরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তাদের সে স্বপ্ন সফল হবে না। বাংলাদেশ যুবলীগ সবসময়ে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে থাকবে। তিনি মেহেরপুর সহ দেশের সকলস্তরের জনগণ হরতাল পালন না করতে উদাত্ব আহবান জানান।
জেলা যুবলীগের সদস্য ইয়ানুচ আলী,মাহবুব হাসান ডালিম, সাজেদুর রহমান সাজু, সাইদুর রহমান উজ্জল, শেখ সারাফত, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান অপু, শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান সুইট, বুড়িপোতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি উজ্জল হোসেন,
সাধারণ সম্পাদক রুমেল হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়নের সভাপতি হাজী সাইফুল ইসলাম, রায়হান উদ্দিন মুন্ট, আমদাহ ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, বারাদি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিংকু মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আলহামদু, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক মংলা, সাধারণ সম্পাদক বাবুল মল্লিক, মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম মজনু, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক মিঠু,
গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিপ্লব হোসেন, আমঝুপি ইউপি যুবলীগের সভাপতি সামসুজ্জামান চমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্বাস আলী, কাজল শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারীসহ সারা দেশে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা ও ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হেফাজতে ইসলাম।